Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পাকিস্তানের সাথে ক্ষেপণাস্ত্র ও যুদ্ধবিমান বানাতে আগ্রহী তুরস্ক

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ মার্চ, ২০২১, ৪:৪৯ পিএম

উদীয়মান পরাশক্তি হিসাবে মধ্য প্রাচ্য ও পূর্ব এশিয়ায় দিন দিন প্রভাব বিস্তার করছে তুরস্ক। পাশাপাশি পাকিস্তানও দক্ষিণ এশিয়ায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হয়ে উঠছে। এবার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ দুইটি যৌথভাবে যুদ্ধবিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্রে উৎপাদন করবে যাচ্ছে।

সামরিক হার্ডওয়্যার উন্নয়ন এবং উৎপাদনের ধারণা নিয়ে তুরস্কের প্রতিরক্ষা ও সরকারি কর্মকর্তারা সম্প্রতি পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এ উদ্যোগের মাধ্যমে তুরস্কের জন্য চীনা যুদ্ধ প্রযুক্তি হস্তগত করার পথ খুলে যেতে পারে। কারণ, পাকিস্তান চীনের সাথে মিলে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান ও ক্ষেপনাস্ত্র তৈরি করছে। সংবাদ মাধ্যম দি ইন্টারন্যাশনাল নিউজের বরাতে জানা যায়, পাকিস্তান চীনের সঙ্গে যৌথভাবে জেএফ-১৭ থান্ডার যুদ্ধবিমান বানাচ্ছে। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বানানোর ক্ষেত্রে চীনা ডিজাইন গ্রহণ করেছে পাকিস্তান।

এখন পাকিস্তানের সঙ্গে প্রতিরক্ষা প্রকল্পে তুরস্ক যদি যুক্ত হয়, চীনা সামরিক প্রযুক্তি তাদের হাতেও চলে আসবে। জানুয়ারিতে এ নিয়ে বৈঠক হয়েছে বলে দুই দেশের কর্মকর্তারা ব্লুমবার্গকে নিশ্চিত করেছেন। তবে এ ধরনের চুক্তি নিয়ে তারা কতদূর অগ্রসর হয়েছেন, কিংবা এ নিয়ে আবার কবে বৈঠক হবে, তা প্রকাশ করতে চাননি তারা। এ পরিকল্পনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তুর্কি কর্মকর্তারা জানান, ইসলামাবাদকে কৌশলগত মিত্র হিসেবে চাচ্ছে আঙ্কারা। দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা প্রকল্প ‘সিপার’ এবং টিএফ-এক্স যুদ্ধবিমান তৈরিতে পাকিস্তানকে সম্ভাব্য অংশীদার বানাতে চাচ্ছে তুরস্ক।

এরদোগান তুরস্ককে মধ্য প্রাচ্যের একটি বড় শিল্প ও সামরিক শক্তি হিসাবে গড়ে তুলতে এবং বিশিষ্ট মুসলিম দেশগুলোর সাথে কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়েছেন। দ্য উইকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুরস্ক পারমাণবিক শক্তি সম্পন্ন পাকিস্তানকে তার দীর্ঘপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র-প্রতিরক্ষা প্রকল্প ‘সিপার’ এবং টিএফ-এক্স যুদ্ধবিমান তৈরির কৌশলগত মিত্র এবং সম্ভাব্য অংশীদার হিসাবে দেখছে। প্রতিবেদন অনুসারে, ‘সিপার’ একটি দীর্ঘ-পরিসরের, ভূপৃষ্ঠ থেকে অনেক উচ্চতা সম্পন্ন একটি আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেম যা বিমান এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উভয়কেই ঠেকিয়ে দিতে পারে। তবে এর চেয়ে টিএফ-এক্স প্রকল্পকেই তুরস্কের প্রতিরক্ষা আধুনিকীকরণ পরিকল্পনার ভিত্তি হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

টিএফ-এক্স (তুর্কি ফাইটার-এক্সপেরিমেন্টাল) একটি চৌকস দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট যুদ্ধবিমান যা দিয়ে তুরস্ক তার এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের বিশাল বহর প্রতিস্থাপন করতে চায়। তুরস্ক আমেরিকা থেকে কমপক্ষে ২৪০ টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান কিনেছিল। যার ফলে তারা ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের পরে এ ধরণের সবচেয়ে বিমানবহরের মালিকে পরিণত হয়। টিএফ-এক্স প্রকল্পটি ২০১১ সালে চালু হয়েছিল। ২০১৫ সালে, তুরস্ক টিএফ-এক্সের উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য যুক্তরাজ্য ভিত্তিক এয়ারস্পেস সংস্থা বিএই সিস্টেমগুসকে বেছে নিয়েছিল। ‘স্টিলথ বৈশিষ্ট্য’ এই বিমানটি বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী যুদ্ধবিমানগুলোর অন্যতম হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্র: দ্য উইক।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তুরস্ক

২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ