বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বরিশাল-ঢাকা জাতীয় মহাসড়কের বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতু ও এর সংযোগ সড়ক সুগন্ধা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষায় ২৮৩ কোটি টাকার প্রকল্পটির বাস্তবায়ন অর্থের অভাবে বাধাগ্রস্থ হতে চলেছে। গত বছরের ৭ জানুয়ারি সেতু ও সংযোগ সড়ক রক্ষায় ভাঙনরোধ প্রকল্পটি অনুমোদন করে একনেক। সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের এ প্রকল্পটি ‘ডিপোজিট ওয়ার্ক’ হিসেবে বাস্তবায়ন করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
কিন্তু একনেকের অনুমোদন লাভ করলেও গত অর্থবছরের চলতি এডিপিতে প্রকল্পটি অন্তর্ভুক্তি ও তেমন কোন অর্থ বরাদ্ধ ছিলো না। সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সাথে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন ও দরপত্র আহবান করে চ‚ড়ান্ত অনুমোদন ও কার্যাদেশ প্রদানে এক বছরেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত হয়েছে। গত মাসের প্রথম সপ্তাহে ১১টি প্যাকেজে কাজ সম্পাদনে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সমূহের সাথে চুক্তি সম্পাদন করে কার্যাদেশ প্রদান করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
পানিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘আইডব্লিউএম’ সম্ভাব্যতা সমীক্ষার ওপর ভিত্তি করে পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন প্রতিরোধে নকশা প্রণয়ন করেছে। নকশা অনুযায়ী সুগন্ধা নদীর বাম তীরে ২ কিলোমিটার ও ডান তীরে ১ হাজার ৭৬৫ মিটার এলাকায় ৮ লাখ ১৫ হাজার জিও ব্যাগ ডাম্পিং করে বিভিন্ন মাপের ১৫ লাখ সিসি ব্লক ফেলা হবে। এ লক্ষে ১১টি প্যাকেজে নির্মাণ প্রতিষ্ঠান সমূহের সাথে চুক্তির পরে গত একমাসে প্রায় ৭ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে।
নকশা অনুযায়ী ভাঙন কবলিত স্থানে প্রাথমিক স্তরে ইতোমধ্যে প্রায় ৮০ হাজার জিও ব্যাগ ফেলার পাশাপাশি কয়েকটি পাকেজে সিসি ব্লক তৈরির কাজও শুরু হয়েছে প্রকল্প এলাকায়। এর বাইরে ভাঙন কবলিত এলাকার উজানে সুগন্ধা নদীর যে বিশাল বাঁক তৈরি হয়েছে, তা কেটে প্রবাহ কিছুটা সোজা করতে সোয়া ৬শ’ মিটার এলাকা থেকে সাড়ে ৩ লাখ ঘনমিটার পলি অপসারণ করা হবে। এছাড়া সেতু ও এর সংযোগ সড়ক মেরামতে সড়ক অধিদফতর আরো প্রায় ৫ কোটি টাকার কাজ করার কথা রয়েছে। কিন্তু অর্থের সংস্থান নেই।
সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সাথে চুক্তি অনুযায়ী আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্পটি সম্পন্ন করার কথা রয়েছে। কিন্তু প্রকল্পটি বাস্তবায়নে শুরু থেকেই অর্থ সঙ্কট একটি বড় বাধা হয়ে উঠেছে বলে মনে করছেন একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র। ২৮৩ কোটি টাকার প্রকল্পটির জন্য চলতি অর্থবছরে বরাদ্ধ রয়েছে মাত্র সাড়ে ৭ কোটি টাকা। অথচ গত এক মাসে যে ৭ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে, টাকার অঙ্কে তা প্রায় ২০ কোটি টাকা। বর্ষা মৌসুমের আগে বেশিরভাগ জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধের প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন করতে না পারলে সেতু ও এর সংযোগ সড়ক হুমকির মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন নদী বিশেষজ্ঞরা।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দক্ষিণ জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। বরিশাল সড়ক জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জানান, আরএডিপি’তে প্রকল্পটির জন্য বরাদ্ধ ১৫ কোটিতে উন্নীত করা হয়েছে। পুরো বিষয়টি নিয়ে তিনি অধিদফতরে যোগাযোগ করার কথা জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।