মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সউদী আরবের প্রকৌশলীদের জনক হিসেবে পরিচিত ও জমজম কূপ পরিষ্কারকরণ প্রকল্পের প্রথম সফল ব্যক্তিত্ব সুঁদি নাগরিক ড. ইয়াহিয়া হামজা কোসাক গত ১ মার্চ সউদী আরবে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তার মৃত্যুতে সউদি আরব সরকার গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেছে। তার বর্নাঢ্য জীবন সম্পর্কে ইনকিলাব পাঠকদের জন্য তুলে ধরছেন মোহাম্মদ আবদুল অদুদ।-আরব নিউজ
প্রকৌশলী ড. ইয়াহইয়া হামজা কোসাক জমজম কূপের উন্নয়নে পরিকল্পনা অনুযায়ী অনেক উন্নয়নকাজের জনক ছিলেন। তিনি সউদি আরবের পানি ও ড্রেনেজ কর্তৃপক্ষের সাবেক মহাপরিচালক। ১৯৭৯ সালের জমজম কূপ পরিষ্কারকরণ প্রকল্পটি ছিল ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ পরিষ্কারকরণ প্রকল্প। এ প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্য ছিল জম জম কূপের পানি প্রবাহ কমিয়ে দেয়ার জন্য দায়ী জঞ্জাল অপসারণ করা। ফলে, ইয়াহিয়া কোসাক প্রথম ব্যক্তি যিনি কূপটিতে প্রবেশ করেন এবং একটি সফল পরিষ্কারকরণ অভিযানের নেতৃত্ব দেন। এরপর জম জম কূপে পানির প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছিল। ১৯৭৯ সালে তিনি এবং তার দল জম জম কূপকে অতিবেগুনী রশ্মি দিয়ে জীবাণুমুক্ত করেন। তিনি তার বইয়ে উল্লেখ করেছেন, জম জম কূপের পানি চমৎকার স্বাদযুক্ত এবং রোগ প্রতিরোধক। তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি জমজমের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে কূপের ভেতরে প্রবেশ করেছিলেন। তিনি সউদি আরবের প্রেস ও প্রকাশনা সংস্থার সদস্যও ছিলেন তিনি।
পবিত্র নগরী মক্কার এক সম্ভ্রান্ত ব্যবসায়ী পরিবারে জন্ম নেন প্রকৌশলী ড. ইয়াহইয়াহ হামজা কোশক। তার পিতা মক্কার বড় ব্যবসায়ী ছিলেন। হজ মৌসুমে তার বাবা ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়াসহ তুর্কি থেকে আগত হজ ও ওমরাহ পালনকারীদের সেবা সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন। তার মা ছিলেন সউদি বাদশাহ ফয়সালের স্ত্রীর বান্ধবী। তিনি পবিত্র নগরী মক্কার সাবেক মেয়র প্রকৌশলী আব্দুল কাদেরের ভাই। ড. ইয়াহইয়া হামজা কোসাক কায়রোর শামস বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকৌশল বিদ্যায় পড়াশোনা করেন তবে ডিগ্রী কমপ্লিট করেন রিয়াদ থেকে। তাছাড়া তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকৌশল বিজ্ঞানের উপর গবেষণা করে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তার ভাতিজা নাবিল কোসাক বলেন, সহকর্মীদের কাছে তিনি ছিলেন অতি প্রিয় মানুষ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।