নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলে চারে উঠে এলো ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। অন্যদিকে রহমতগঞ্জের বিপক্ষে ড্র করে ফের পয়েন্ট খোঁয়ালো শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। মঙ্গলবার কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে মোহামেডান ২-০ গোলে হারায় মুক্তিযোদ্ধাকে। বিজয়ী দলের হয়ে মালির ফরোয়ার্ড সুলেমান দিয়াবাতে ও বুরকিনা ফাসোর ডিফেন্ডার মাউনজির কাউলিদিয়াতি গোল করেন। লিগে এটা সাদাকালোদের পঞ্চম জয়। এক ম্যাচ পরে ফের জয়ের ধারায় ফিরলো তারা। আগের ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনীর সঙ্গে ১-১ ব্যবধানে ড্র করলেও মঙ্গলবার জয়ের লক্ষ্যেই মাঠে নামে মোহামেডান। নিজেদের হোম ভেন্যুতে আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দিয়েই ম্যাচের দুই অর্ধে দু’গোল আদায় করে নেয় ঐতিহ্যবাহীরা। ম্যাচের শুরু থেকেই মুক্তিযোদ্ধার উপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকে মোহামেডান। ধারাবাহিক আক্রমণের মুখে ম্যাচের ৩৫ মিনিটে সুলেমান দিয়াবাতে গোল করলে উল্লাসে মাতে সাদাকালো শিবির (১-০)। এগিয়ে থেকে বিরতিতে গেলেও গোলক্ষুধা কমেনি মোহামেডানের। ফলে ৬১ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি আদায় করে নেয় তারা। এসময় মাউনজির কাউলিদিয়াতি গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন (২-০)। বাকি সময় আর কোনো গোল না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত এই ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে মোহামেডান। ম্যাচ জিতে ১১ খেলায় পাঁচ জয়, চার ড্র ও দুই হারে ১৯ পয়েন্ট তালিকায় সেরা চারে উঠে এলো মোহামেডান। সমান ম্যাচে দুই জয়, তিন ড্র ও ছয় হারে ৯ পয়েন্ট পাওয়া মুক্তিযোদ্ধার অবস্থান এগারোতে।
এদিন বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে লিগের আরেক ম্যাচে জায়ান্ট কিলার খ্যাত রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি রুখে দিয়েছে শেখ জামালকে। ম্যাচটি ১-১ গোলে অমিমাংসিতভাবে শেষ হলে ফের পয়েন্ট খোঁয়ায় শেখ জামাল। জামালের উজবেকিস্তানের মিডফিল্ডার ভালিজনব ওতাবেক ও রহমতগঞ্জের আইভরিকোস্টের ফরোয়ার্ড ক্রিস্ট রেমি একটি করে গোল করেন।
পুরো ম্যাচে দু’দল খেলেছে নিজেদের মতো করেই। কিন্তু শেষ দিকে এসে দু’দলের খেলোয়াড়রা যেন মেজাজ হারিয়ে ফেলেন। ফলে কিছুক্ষণ পর পর ফাউলের বাঁশি বাজাতে হয় রেফারি আনিসুর রহমান সাগরকে। দুই হলুদ কার্ডের সুবাদে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় শেখ জামালের গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড সুলেমান সিল্লাহকে। এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে দু’দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে। হাতাহাতিও হয়। তবে ম্যাচের শুরুতে কিন্তু পরিচ্ছন্ন ফুটবলই খেলেছে দু’দল। আক্রমণাত্ম-পাল্টা আক্রমণে খেলা চললে ম্যাচও হয়ে ওঠে উপভোগ্য। যদিও প্রথমার্ধে গোল করতে পারেননি কেউই। বিরতির পর মাঠে নেমেই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে খেলে শেখ জামাল। সাফল্যও পায় তারা দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে। ম্যাচের ৪৯ মিনিটে এগিয়ে যায় জামাল। মাঠের বাঁ প্রান্ত থেকে কর্ণার কিক নেন ভালিজনব ওতাবেক। তার বাঁকানো কর্ণার লাফিয়ে ওঠে ঠেকানোর চেষ্টা করেও পারেননি রহমতগঞ্জের গোলরক্ষক রাসেল মাহমুদ লিটন। কর্ণার কিকের বল কোনাকুনিভাবে সোজা জালে আশ্রয় নেয় (১-০)। দুই মিনিটের মাথায় সমতায় ফেরে রহমতগঞ্জ। ম্যাচের ৫১ মিনিটে শাহেদুল আলমের উড়ন্ত ক্রস জামালের এক ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিলে বল পান রহমতগঞ্জের ক্রিস্ট রেমি। তার নেয়া ডান পায়ের শট গোলরক্ষক জিয়াউর রহমানের মাথার ওপর দিয়ে জালে জড়ায় (১-১)। ম্যাচের যোগকরা সময়ে (৯০+৪মিনিট) রহমতগঞ্জের ক্রিস্ট রেমিকে ফাউল করেন আগেই একটি হলুদ কার্ড দেখা জামালের গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড সুলাইমান সিল্লাহ। ফলে এবার অবৈধভাবে বাধা দেয়ায় রেফারি দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখালে (লাল কার্ড) মাঠ থেকে বের হতে হয় সিল্লাহ’কে। এই কার্ডকে কেন্দ্র করে দু’দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে অবশ্য রেফারির হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। ম্যাচ ড্র করে শেখ জামাল ১১ খেলায় ছয় জয় ও পাঁচ ড্র’তে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় দ্বিতীয়স্থানেই রইল। সমান ম্যাচে দুই জয়, চার ড্র ও পাঁচ হারে ১০ পয়েন্ট পাওয়া রহমতগঞ্জের অবস্থান নয়ে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।