মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মিয়ানমারে গতকাল রোববার বিক্ষোভে সরকারি বাহিনীর গুলিতে অন্তত ১৮ জন নিহতের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশ এদিনের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। খবর আল জাজিরা।
জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের নির্বিচারে গ্রেফতার এবং তাদের ওপর প্রাণঘাতী শক্তির ব্যবহার গ্রহণযোগ্য নয়। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সম্মিলিতভাবে বর্মি সেনাবাহিনীকে একটি স্পষ্ট বার্তা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। নির্বাচনের মাধ্যমে মায়ানমারের জনগণের যে ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে তার প্রতি সম্মান দেখাতে হবে এবং দমনপীড়ন বন্ধ করতে হবে।’
খবরে বলা হয়েছে, নিহতদের সবাই পুলিশের ছোড়া গুলি, গ্রেনেড ও টিয়ার শেলের আঘাতে মারা গেছেন বলে জানা গেছে। জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন জানিয়েছে, শান্তিপূর্ণ সমাবেশে নিরাপত্তা বাহিনীর নজিরবিহীন দমনপীড়ন ও গণগ্রেফতার গ্রহণযোগ্য নয়। খবর বিবিসির
মিয়ানমারের সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এরই মধ্যে অভ্যুত্থানের জেরে মিয়ানমারে সব ধরনের সহায়তা বন্ধের পাশাপাশি দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে একমত হয়েছেন ইউরোপের দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন জানিয়েছেন, মিয়ানমারের নিরাপত্তাবাহিনী সাধারণ জনগণের বিরুদ্ধে ঘৃণ্য সহিংসতা চালিয়েছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান তিনি।
এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের প্রতি সহিংসতা থামানো এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আহ্বান জানিয়েছে ব্রিটেনের পররাষ্ট্রদপ্তর
তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বর্মি কর্তৃপক্ষের প্রতি দেশটিতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে।
১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই নিয়মিত বিক্ষোভকারীদের ওপর চড়াও হচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। তবে ২৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার বিক্ষোভকারীদের ওপর চূড়ান্ত রকমের সহিংস ভূমিকায় দেখা গেছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের। এদিন পুলিশের গুলিতে অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছে। অভ্যুত্থানের পর এটিই একদিনে সর্বোচ্চ প্রাণহানির ঘটনা।
রবিবার দেশটির প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। স্টান গ্রেনেড ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে লোকজনকে ছত্রভঙ্গ করতে ব্যর্থ হয়ে একপর্যায়ে তাদের ওপর গুলি চালায় পুলিশ। বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটির প্রথম ক্যাথলিক কার্ডিনাল চার্লস মাউং বো টুইটারে লিখেছেন, মিয়ানমার যুদ্ধক্ষেত্রের মতো হয়ে গেছে। সূত্র : আল জাজিরা, রয়টার্স
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।