পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
সাইপ্রাসের ওপর থেকে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের মার্কিন সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে তুরস্ক। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সাল থেকে সাইপ্রাসেরও ওপর থেকে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের সেই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে তুরস্ক সতর্ক করেছে, এর ফলে অস্ত্র প্রতিযোগিতা শুরু হতে পারে। তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শনিবার জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্ত গ্রিক সাইপ্রিয়ট পক্ষের অস্থিরতাকে আরও জোরদার করবে এবং সাইপ্রাস ইস্যু পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে’। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে আরও জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্ত দ্বীপকে একটি অস্ত্র প্রতিযোগিতার দিকে নিয়ে যাবে। পূর্ব ভূমধ্যসাগরে শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রকে দুই পক্ষের প্রতি একটি ভারসাম্যপূর্ণ নীতি পুনর্বিবেচনা করার এবং অনুসরণ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। সাইপ্রাসে মূলত দুই জাতির সাইপ্রিয়টদের বাস- গ্রিক ও তুর্কি। ১৯৭৪ সালে গ্রিক সাইপ্রাইটদের একটি অংশ ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করলে তুরস্ক সৈন্য পাঠিয়ে দ্বীপটির প্রায় ৩০ শতাংশ জায়গা দখল করে নেয়। দখলকৃত অংশকে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা দিয়ে নাম দেয়া হয় টার্কিশ রিপাবলিক অব নর্থ সাইপ্রাস। এই রাষ্ট্রকে অবশ্য তুরস্ক ছাড়া আর কোনো দেশ স্বীকৃতি দেয়নি। দুই সাইপ্রাস ফের যুক্ত করার আশায় যুক্তরাষ্ট্র ১৯৮৭ সালে সমগ্র সাইপ্রাসের উপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।