রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
কাপ্তাই (রাঙ্গামাটি) উপজেলা সংবাদদাতা : কাপ্তাই আগর বনায়ন নির্বিচারে কেটে ফেলায় চাষিদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। কয়েক দফা বৈঠকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া জন্য প্রশাসনকে তাগিদ দেয়া হয়েছে। সরকার কর্তৃক পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের আওতায় কাপ্তাই বন রেঞ্জের কামিলাছড়ি, শুকনাছড়ি, কাপ্তাই সদর, ব্যাঙছড়ি, রামপাহাড় এলাকাসহ বিভিন্নস্থানে বনবিভাগের ভূমির ওপর সামাজিক আগর বনায়ন কার্যক্রম ২০০৭-২০০৮সালে প্রায় পাঁচ শতাধিক সুবিধা ভোগিদের অংশিদারি ভিত্তিতে, আগর, বাঁশ ও বেত চাষের সুবিধা প্রদান করা হয়। চাষিরা এ কয়েক বছর যাবত নিজ নিজ খরচে বাগান চাষ করতে গিয়ে ইতোমধ্যে শ্রমছাড়াও কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয় করেছে। অনেক আগর চাষি বাগান করতে গিয়ে এবং পরবর্তী সুবিধা পাওয়ার আশায় সব কিছু বিক্রি করে দিয়ে এখন সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছে। বর্তমানে বাগানে যখন গাছ বড় হয়ে উঠছে তখনি এক শ্রেণির দুর্বৃত্ত বাগানে আগুন দিয়ে বা নির্বিচারে কেটে ফেলে ধ্বংস করে দিচ্ছে। নির্বিচারে গাছ কেটে ধ্বংস করায় চাষিদের মাথায় হাত। কান্না আর হতাশায় ভুগছে চাষিরা। কাপ্তাই রেঞ্জের কামিলাছড়ি বিট এলাকায় গত শুক্রবার আগর বাগানের চাষি কাঞ্চন চৌধুরী ও সজল ঘোষ বাগানে গিয়ে দেখে তাদের বাগানের প্রায় তিন শতাধিক আগর গাছ কে বা কাহারা নির্বিচারে কেটে ফেলে গেছে। এ দৃশ্যদেখে দু’জনে কেঁদে দেয় এবং ঘটনাটি কাপ্তাই সহকারী বন সংরক্ষক রেঞ্জকর্মকর্তা ও বিট কর্মকর্তাদের জানান। এছাড়া কাপ্তাই আগর চাষিদের জানানো হলে সকলের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। গত শনিবার এনিয়ে কয়েক দফা বৈঠক করা হয়েছে। কাপ্তাই আগর চাষি সমিতির সভাপতি কাজী মাকসুদুর রহমান বাবুল বলেন, লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করেছি বাগান করার জন্য। আজ বন বিভাগের অবহেলার কারণে আমাদের বাগান ধ্বংস করা হয়েছে। বর্তমানের বাগান রক্ষণাবেক্ষণের কাছে এই ক্ষতি পূরণের দাবি জানানো হয়। দক্ষিণ বন বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও) সালাহ উদ্দীনের সাথে ফোনে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ঘটনাটি শুক্রবার রাতে শুনেছি। তবে এভাবে বাগান ধ্বংস করা দুঃখজনক। আমরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেব বলে জানান তিনি। এদিকে কামিলাছড়ি বিট কর্মকর্তা এমএ বশির বলেন. শনিবার বিকালে আমরা সকল অংশীদারি এবং প্রশাসনের সাথে বসে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস প্রদান করেন। গাছ ধ্বংস নিয়ে কাপ্তাইয়ে চাষিরা বলেন, দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া না হলে সব কিছুর জন্য প্রশাসনকে দায়ভার নিতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।