নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
প্রিমিয়ার লিগে দুই চ্যাম্পিয়নের লড়াইয়ে হেরে গেল ঢাকা আবাহনী। তাদেরকে ¯্রফে উড়িয়ে দিল বসুন্ধরা কিংস। রাজার মতোই জিতল করপোরেট দলটি। গতকাল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত লিগের প্রথম দেখায় বসুন্ধরা কিংস ৪-১ গোলে হারিয়েছে আকাশী হলুদ শিবিরকে।
ম্যাচের শুরু থেকেই ভিন্ন চিত্র। আর্জেন্টাইন রাউল অস্কার বেসেরা, ইরানীয়ান খালেদ শাফেই এবং ব্রাজিলের জোনাথন দ্য সিলভার আক্রমণে ছন্নছাড়া হয়ে পড়ে আবাহনীর রক্ষণভাগ। চার গোলই করেছেন এ তিন বিদেশি। আবাহনীর আরেক বিদেশি হাইতিয়ান কারভেন্স বেলফোর্ট অবশ্য এক গোল শোধ দেন। ম্যাচে পাঁচ গোলের সবক’টিই করেছেন বিদেশি ফুটবলাররা।
এতটা দুর্বল রক্ষণ দুর্গ আগে দেখা যায়নি আবাহনীর। যতটা দেখা গেল বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে ম্যাচে। সুযোগটা কাজে লাগাতে ভুলেননি বসুন্ধরার বিদেশিরা। ১৮ মিনিটে প্রথমেই এগিয়ে যায় বসুন্ধরা। বক্সের ডান প্রান্ত দিয়ে রবসনের বাঁ পায়ের শট দূরের পোস্ট লেগে ফিরে আসে। জটলার মধ্যে বল পড়ে। ডান পায়ের আলতো টোকায় গোল করে কিংসকে এগিয়ে নেন আর্জেন্টাইন রাউল অস্কার বেসেরা (১-০)। মিনিট সাতেক পর ফের উৎসব বসুন্ধরা শিবিরে। এবার নায়ক ইরানীয়ান ডিফেন্ডার খালেদ শাফেই। রবসনের কর্নারে খালেদ শাফেইয়ের ফ্লিকে আবাহনীর দুই খেলোয়াড়ের পায়ে লাগে। এরপর বল যখন জালের দিকে ঢুকছিল, আবানীর গোলকিপার শহিদুল আলম সোহেল চেষ্টা করেও ফেরাতে পারেননি। বল তার হাতে লেগে জালে প্রবেশ করে (২-০)। কোনও ভাবেই বসুন্ধরার রক্ষণভাগের উপর চড়াও হতে পারছিলেন না আকাশী হলুদের ফরোয়ার্ডরা। যার খেসারত দিতে হচ্ছিল তাদের। মেজাজ হারাতে থাকেন দু’দলের ফুটবলাররাই। ম্যাচের ৪০ মিনিটে দু’দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে হালকা ধাক্কাধাক্কি হয়। জুয়েল রানার সঙ্গে বল কড়াকাড়ি অবস্থায় সোহেল রানা দৌড়ে এসে রবসনকে ধাক্কা মারেন। রবসনও পায়ে দিয়ে তাকে ফেলে দেন। এরপর ওঠে সোহেল রানা লাথি দিতে এগিয়ে যান রবসনকে। রেফারি বিতু রাজের মধ্যস্থায় বড় কোনো ঝামেলা আর হয়নি। ৫১ মিনিটে তৃতীয় গোল পায় বসুন্ধরা। রাউল অস্কার বেসেরার ডিফেন্স চেরা পাস ধরে বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়া জোনাথন দ্য সিলভা ঠান্ডা মাথায় গড়ানো শটে গোল করেন (৩-০)। ৭৬ মিনিটে মাহবুবর রহমানের সুফিলের ছোট থ্রোয়ে বল পান জোনাথন। ডান প্রান্ত থেকে তার ক্রসে দৌড়ে এসে হেডের মাধ্যমে বল জালে জড়িয়ে দেন রাউল অস্কার বেসেরা (৪-০)। গোল হজমের পর একসঙ্গে তিনজন ফুটবলারকে বদলি করে আবাহনী। এরফলে অন্তত একটি গোল হজম করতে পারে আকাশী হলুদ শিবির। মিনিট পাঁচেক পর পেনাল্টি পায় আবাহনী। বক্সের মধ্যে আবাহনীর হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড বেলফোর্টকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন বসুন্ধরার রিমন হোসেন। স্পট কিক থেকে এক গোল পরিশোধ করেন বেলফোর্ট (১-৪)। ব্যাস ওই পর্যন্তই। শেষে ৪-১ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে ঢাকা আবাহনী। এই জয়ে ১২ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষেই থাকল বসুন্ধরা কিংস। ১১ পয়েন্ট নিয়ে শেখ জামালের সঙ্গে যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আকাশী হলুদ শিবির।
দিনের অন্য ম্যাচে, টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রকে ২-১ গোলে হারায় উত্তর বারিধারা। ১১তম ম্যাচে এসে লিগে প্রথম জয়ের স্বাদ পাওয়া দলটির পয়েন্ট ৯। ১১ ম্যাচে পাঁচ জয়, দুই ড্র ও চার হারে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে শেখ রাসেল।
এক নজরে ফল
আবাহনী ১-৪ বসুন্ধরা
শেখ রাসেল ১-২ বারিধারা
ফুটবল
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।