Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বন্ধুর নাক ফাটিয়েছিলেন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০০ এএম

বর্ণবিদ্বেষের খোঁচা দিয়েছিলেন বন্ধু। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট তখন যুবক। অপরিপক্ক মন, কিন্তু মনের ভেতরে জ্বলছে প্রতিবাদের আগুন। ভুল শুধরে নেওয়ার সুযোগ তিনি দিয়েছিলেন বন্ধুকে। এদিকে বন্ধুও নাছোড়বান্দা। এরপরই সজোরে তাঁর নাক লক্ষ্য করে ঘুষি চালিয়েছিলেন বারাক ওবামা।
বর্ণবিদ্বেষের বিষয়ে আগেও অকপটে নিজের অভিজ্ঞতা স্বীকার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক এই প্রেসিডেন্ট। বরাবরই শান্তিপ্রিয় স্বভাবের ওবামা ৫০ পার করলেও এখনো তিনি অনেকের কাছেই ‘ইয়ুথ আইকন’। প্রেসিডেন্ট থাকাকালে একাধিক দেশের সঙ্গে মৈত্রিচুক্তি স্বাক্ষর করে নজির গড়েছিলেন। ফলে ওবামা তার বন্ধুর নাক ফাটিয়ে দেওয়ার ঘটনায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।

ঠিক কোন পরিস্থিতিতে ধৈর্যের বাঁধ ভেঙেছিল সাবেক প্রেসিডেন্টের। একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, স্কুলে থাকাকালীন এক বন্ধুর সঙ্গে নিয়মিত বাস্কেটবল খেলতেন। একদিন একটি আলোচনা থেকে বিতর্ক তৈরি হয়।
সেই সময় বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্য ধেয়ে আসে তাঁর দিকে। ওবামা জানান, বন্ধুর সেই সময় ওই শব্দগুলোর অর্থ বা ভার বোঝার মতো বয়স বা বোধশক্তি তৈরি হয়নি। এরপরই যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট হেসে বলেন, ‘রাগে আমি ঘুষি মেরে ওর নাক ফাটিয়ে দিয়েছিলাম।’ এরপর বন্ধুকে এই ধরনের কোনো শব্দ ভবিষ্যতে ব্যবহার না করার অনুরোধও করেছিলেন।

শুধু বারাক ওবামা নয়, বর্ণবিদ্বেষ ইস্যুতে সরব হয়েছিলেন সাবেক মার্কিন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামাও। তিনি বলেন, ৮ বছর হোয়াইট হাউসে থাকার পরও বর্ণবিদ্বষের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়নি। তিনি বলেছিলেন, ‘মানুষ জানে, কোথায় আঘাত করলে সব থেকে বেশি আঘাত পাব। কৃষ্ণাঙ্গ বলে যুক্তরাষ্ট্রে একাধিকবার হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে। প্রতিদিন হাজার হাজার ছোট ক্ষত নিয়ে বেঁচে থাকছি।’

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘদিন ধরেই বর্ণবিদ্বেষের শিকার আফ্রিকানরা। গত বছর পুলিশি নির্যাতনে জর্জ ফ্লয়েড নামে এক কৃষ্ণাঙ্গের মৃত্যু ঘটনায় জ্বলে উঠেছিল সে দেশ। জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার অনুষঙ্গেই উঠে এসেছিল ডেরিক অলি স্কট নামক আরেক কৃষ্ণাঙ্গের মৃত্যুর ঘটনাও। ২০১৯ সালে পুলিশি হেফাজতেই মাত্র ৪২ বছর বয়সে মৃত্যু হয়েছিল ডেরিকের। ওকলাহোমা সিটি পুলিশের প্রকাশিত সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। যা দেখে ক্ষোভে ফুঁসছিল যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দারা। সূত্র : নিউইয়র্ক পোস্ট, রিপাবলিক ওয়ার্ল্ড।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মার্কিন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ