মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
টানা তৃতীয়বারের মতো গ্লােবাল মুসলিম পার্সোনালিটি এওয়ার্ড অর্জন করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। নাইজেরিয়ার ইসলাম বিষয়ক সংবাদপত্র মুসলিম নিউজ নাইজেরিয়ার পক্ষ থেকে প্রতি বছর এই এওয়ার্ড দেওয়া হয়। সংবাদপত্রটির প্রকাশক রশিদ আবু বকর এক বিবৃতিতে এরদোগানের পুরস্কার অর্জনের এই ঘোষণা দেন। বিবৃতিতে আবু বকর বলেন, ২০২০ সালে কোভিড-১৯ মহামারীর জেরে সারাবিশ্ব প্রচন্ড চ্যালেঞ্জের ভেতর দিয়ে গিয়েছে, যা মানুষের অগ্রগতিকে প্রভাবিত করেছে। এরদোগান এক ন্যায্য লক্ষ্যে স্থির ছিলেন এবং তার অর্জন আগের বছরকে অতিক্রান্ত করেছে। তুর্কি রাষ্ট্র ও তার স্থানীয় অর্থনীতির জাতীয় সক্ষমতার পরিচর্যা ও উন্নয়নের মাধ্যমে, প্রেসিডেন্ট এরদোগান বিশ্বের সামনে এক উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন, যার অভাব মানবাধিকার, রাজনীতি, ন্যায়বিচার ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সমতায় ইসলামি আদর্শের অনুপস্থিতির কারণে অনুভব করছে। ২০১৮ সাল থেকে এই পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়। বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের বিভিন্ন অর্জনকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্যই এই পুরস্কারের প্রচলন হয়। উল্লেখ্য, এরদোগানকে নিয়ে সারা মুসলিম বিশ্বেই এক ধরণের আলোড়ন চলছে। কেউ কেউ বলছেন মুসলিম উম্মাহর নেতৃত্ব এখন তার হাতেই। শূন্যতা পূরণে এগিয়ে আসছেন এরদোগান। অপর এক খবরে বলা হয়, তিন দশকের দখলদারির পর আর্মেনিয়ার নিয়ন্ত্রণ থেকে নাগরনো-কারাবাখকে আজারবাইজানের মুক্ত করার স্মারক হিসেবে এই স্মৃতিসৌধ তৈরি করা হয়েছে। তুরস্কের পূর্বে আজারবাইজানের স্বায়ত্তশাসিত রিপাবলিক অব নাকচিভানের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করেছে তুরস্ক। তুরস্কের ইগদির প্রদেশের দিলুজু অঞ্চলের হাইওয়েতে নির্মিত ছোট এই স্মৃতিসৌধে পাশাপাশি উড়ানো হয়েছে তুরস্ক ও আজারবাইজানের জাতীয় পতাকা। স্মৃতিসৌধের ফলকে খচিত বাক্য ’আমরা দুই দেশের এক জাতি’ উভয় দেশের মধ্যে শক্তিশালী বন্ধুত্বের সম্পর্ককে প্রকাশ করেছে। নিরাপত্তা বাহিনী জানডারমেরির প্রাদেশিক কমান্ডের উদ্যোগে ‘দুই রাষ্ট্র, এক জাতি’ নামের এই স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতার পর থেকেই আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে উত্তেজনা চলে আসছে। ১৯৯৪ সালে আজারবাইজানের ভ‚মি হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নাগরনো কারাবাখ ও এর কাছাকাছি আরো সাতটি অঞ্চল আর্মেনিয়া দখল করে নিলে এই উত্তেজনা বাড়ে। গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর, আর্মেনিয়া আজারবাইজানের সামরিক বাহিনী ও সাধারণ মানুষের ওপর হামলা করলে দুই দেশ নতুন করে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। ৪৪ দিনের যুদ্ধে আর্মেনিয়ার দখল থেকে মুক্ত করে আজারবাইজান বিভিন্ন শহর ও অন্তত তিন শ’ জনবসতি ও গ্রামের নিয়ন্ত্রণ নেয়, যা প্রায় তিন দশক আর্মেনীয় দখলের অধীনে ছিল। যুদ্ধ বন্ধ করতে ও সংঘাতে দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের উদ্দেশ্যে দেশ দুইটি রাশিয়ার মধ্যস্থতায় ১০ নভেম্বর একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। রাশিয়ার মধ্যস্থতায় সম্পাদিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি আজারবাইজানের জয় ও আর্মেনিয়ার পরাজয় হিসেবে মনে করা হয়। চুক্তিটির ফলে আর্মেনিয়াকে নাগরনো কারাবাখ থেকে তাদের সশস্ত্র বাহিনীকে সরিয়ে ফেলতে হচ্ছে। যুদ্ধবিরতি তদারকে তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যে স্মারক চুক্তির আওতায় নাগরনো কারাবাখের আগদাম অঞ্চলে একটি যৌথ মনিটরিং সেন্টার চালু করা হয়েছে। যৌথ এই মনিটরিং সেন্টার থেকে তুরস্ক ও রাশিয়ার সেনাবাহিনী যৌথভাবে যুদ্ধবিরতি তদারকি করছে। আনাদোলু এজেন্সি, ইয়েনি শাফাক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।