যেভাবে মাছ ভাজলে ভেঙে যাবে না
বাঙালির প্রতিদিনের খাবারে মাছ তো থাকেই। এটি সব খাবারের মধ্যে পুষ্টির অন্যতম উৎস। তাড়াহুড়ো করে
আমাদের প্রতিদিনের রান্নার তালিকায় কাঁচা মরিচের স্থান বেশ প্রচলিত। কাঁচা মরিচের মধ্যে রয়েছে এমন কিছু গুণ যা আমাদের শরীরের জন্য অতি প্রয়োজনীয়। আমাদের দেশে সাধারণত শীতকালে কাঁচা মরিচের বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হয়ে থাকে। যেকোনো বাড়ি/বাসার সামনে বা পিছনে সামান্য ক’ফুট জমিতে সারা বছরই মরিচের চাষ করা যায়। বাড়ীর ছাদে বা বারান্দায় মাটির টবেও কাঁচা মরিচের চাষ করে সারা বছরই কাঁচা মরিচের সুবিধা উপভোগ করা সম্ভব। ৫/৭ জনের পরিবারে মাত্র ২/৩টি টবে কাঁচা মরিচের গাছ লাগিয়ে পরিচর্যা ও পানি ব্যবহার করলেই চলে। মাঝে-মধ্যে মাটির টবকে বাহিরে রোদে রাখতে হয়। তাতে ফল বেশী ও গাছের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
জিহ্বার স্বাদ বৃদ্ধিতে কাঁচা মরিচের ব্যবহার অতুলনীয়। শুধু জিহ্বার স্বাদই নয়। কাঁচা মরিচ আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। শরীরের পুষ্টি সাধনে সাহায্যকারী কাঁচা মরিচের মধ্যে থাকা উপাদানগুলো হলো-একশ গ্রাম কাঁচা মরিচে ১.৩ গ্রাম প্রোটিন, ০.৩ গ্রাম ফ্যাট, ৪.৩ গ্রাম শর্করা, ০.৭ গ্রাম খণিজ পদার্থ, ক্যালসিয়াম ১০ মিলিগ্রাম, লৌহ পদার্থ ১.২ গ্রাম, খাদ্যপ্রাণ ১.৩৭ মিলিগ্রাম থাকে।
কাঁচা মরিচের মধ্যে ক্যাপসাইসিন নামক এক প্রকার উপাদান থাকে। এর ফলে কাঁচা মরিচ খেলে ঝাল অনুভ‚ত হয়। কিন্তু কেউ যদি কাঁচা মরিচ খাওয়ার অভ্যাস করে থাকেন তাহলে তা ভাল অভ্যাসই বলা যায়। কেননা ক্যাপসাইসিন নামের এ উপাদানটি পিত্তরোগীর জন্য উপকারী। গবেষকদের মতে, নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে ‘কোলন’ পেটে কর্কট রোগের সম্ভাবনা অনেকটা কমিয়ে দেয়। কাঁচা মরিচে থাকা খাদ্যপ্রাণ অ্যান্টি অক্সিডেন্টের কাজ করে। যার ফলে চোখে ছানিপাড়া রোগের সম্ভাবনা অনেক কম থাকে। এ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট মলিকুলার অক্সিজেনের বিক্রিয়ায় অক্সিডেসন বন্ধ করতে পারে। খাদ্যপ্রাণ যুক্তমূলক নামক সান্দ্রতা বিশিষ্ট একদল অনুর আক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করে। এ অনু শরীরের কোষকলা ও হৃদপিন্ডের ক্ষতি করে। তাই কোষ ও হৃদপিন্ডকে রক্ষা করতে কাঁচা মরিচের অশেষ গুণ রয়েছে। তবে কাঁচা মরিচ থেকে পাকা মরিচে খাদ্যপ্রাণের পরিমাণ বেশী। কাঁচা মরিচ শরীরে নাইট্রোজেন অক্সাইডের মাত্রা সঠিক রাখে। রক্তচাপ ও শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণে কাঁচা মরিচ সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
কাঁচা মরিচ ভাইরাস ইনফেকশন, সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা করে। আঘাতের যন্ত্রণা কমাতে কাঁচা মরিচের গুণ অপরিসীম। রান্নার মধ্যে কাঁচা মরিচের গুড়ো ব্যবহার করলেও উপকারিতা পাওয়া যায়। তবে বেশী উপকার পাওয়া যায় কাঁচা মরিচের স্বভাবিক ব্যবহারে। শরীরের প্রয়োজনীয় উপাদানের অভাব পূরণে কাঁচা মরিচ সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে।
আফতাব চৌধুরী
সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।