পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা ঃ নওগাঁর বদলগাছী উপজেলায় এবার কাঁচা মরিচের বাম্পার ফলন হলেও চাষিদের মুখে নেই কোন হাসি। বর্তমানে পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচের দাম মাত্র ৫ থেকে ৭ টাকা কেজি। ফলে উৎপাদিত মরিচ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন এলাকার কৃষকেরা। সরেজমিনে ঘুরে এলাকার কৃষক ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বদলগাছী সদর ইউনিয়ন, কোলা, আধাইপুর, পাহাড়পুর, বালুভরা ও মিঠাপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের উঁচু জমিতে মরিচের ব্যাপক আবাদ হয়ে থাকে। আর এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ উপজেলায় কাঁচা মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু বাজারে এখন কাঁচা মরিচ পানির দরে বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে বদলগাছী বিভিন্ন হাট-বাজারে প্রতিমণ কাঁচা মরিচের দাম মাত্র ২০০ থেকে ২৫০ টাকার বেশি নয়। অথচ একজন শ্রমিকের এক বেলার মজুরির দাম ২০০ টাকা। আর সেই শ্রমিক এক বেলায় ক্ষেত থেকে মাত্র ২৫ থেকে ৩০ কেজি মরিচ তুলতে পারে। যার বাজারমূল্য প্রায় ১২৫ থেকে ১৮০ টাকা। সে হিসাবে মরিচ বিক্রি করে এলাকার কৃষকের শ্রমিক খরচই উঠছে না। বাধ্য হয়ে কৃষকেরা পরিবারের সদস্যদের দিয়ে মরিচ তুলে হাট-বাজারে বিক্রি করছেন। আর যে সমস্ত কৃষক জমিতে খাটতে পারেন না তাদের সে সুযোগও নেই, তাই তাঁদের মরিচ জমিতেই পচে নষ্ট হচ্ছে। উপজেলার কৃষক বকুল ও আফছারসহ আরও অনেকে বলেন, প্রতি সপ্তাহে বদলগাছীতে বুধবার ও শনিবার সাপ্তাহিক হাট বসে। গত শনিবার তাঁরা পাইকারদের কাছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা মণ দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি করতে পেরেছেন বলে জানান। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার হাসান আলী বলেন, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর মাঠপর্যায়ে কাঁচা মরিচের আশাতীত ফলন হয়েছে। তবে দাম না পাওয়ায় কৃষকেরা বিপাকে পড়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।