মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মেক্সিকোর কুখ্যাত মাদক সম্রাট ‘এল চাপো’র স্ত্রী এমা করোনেল আইসপুরোকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। সোমবার ওয়াশিংটনের বাইরে ডালাস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রেফতারের একদিনের মাথায় গতকাল মঙ্গলবার তাকে আদালতে তোলা হয়। সেখানে তার বিরুদ্ধে এল চাপোকে জেল থেকে মাদক সাম্রাজ্য পরিচালনায় সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এল চাপো'র স্ত্রী এমাকে ভিডিও ট্রায়ালের মাধ্যমে ওয়াশিংটনের একটি আদালতে হাজির করা হয়। তার বিরুদ্ধে মাদক চোরাচালানসহ ২০১৫ সালে মেক্সিকোর একটি কারাগার থেকে পালানোর ক্ষেত্রে এল চাপোকে সহযোগিতা করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে মাদক পাচারের সবচেয়ে বড় কার্টেল সিনালোয়া'র সাবেক প্রধান ৬৩ বছর বয়সী এল চাপো ২০১৯ সাল থেকে মাদক চোরাচালান এবং অর্থ পাচারের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে নিউইয়র্কের একটি কারাগারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে শিশু ধর্ষণ এবং হত্যার কয়েকটি অভিযোগ বিচারাধীন রয়েছে।
৩১ বছরের মেক্সিকান-আমেরিকান এমা করোনেল আইসপুরো ২০০৭ সালে সুন্দরী প্রতিযোগিতায় নাম লেখান। পরে তিনি মাদক সম্রাট এল চাপোর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ২০১৫ সালের জুলাইয়ে এক মাইল দীর্ঘ সুড়ঙ্গ খুঁড়ে কারাগারের গোসলখানা হয়ে পালান এল চাপো। ওই ঘটনায় তাকে সহায়তার অভিযোগ রয়েছে আইসপুরোর বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার ভিডিও লিংকের মাধ্যমে ওয়াশিংটন ডিসি জেলা আদালতের শুনানিতে অংশ নেন আইসপুরো। এ সময় বিচারকাজ চলাকালে তাকে আটক রাখার নির্দেশ দেন আদালত।
প্রসিকিউটরদের যুক্তি ছিল, আইসপুরোর বিপুল অর্থ থাকায় তার পালিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এছাড়া স্বামী মাদক সম্রাট এল চ্যাপোর বিশাল মাদক পাচারকারী চক্রের সঙ্গে তার যোগসাজশ রয়েছে।
এল চাপো-র প্রকৃত নাম জোয়াকুইন গুজম্যান। ১৯৮৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত হাজার হাজার সদস্য নিয়ে গঠিত বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ও সংগঠিত মাদক পাচার চক্র সিনালোয়া কার্টেলের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। মার্কিন প্রসিকিউটরদের অভিযোগ, ওই সময়ে চক্রটি যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত এক লাখ ৫৪ হাজার ৬২৬ কেজি কোকেইন পাচার করেছিল। একই সময়ে সিনালোয়া কার্টেলের মাধ্যমে দেশটিতে ১৪ বিলিয়ন ডলারের হেরোইন, মেথামফেটামিন ও গাঁজা পাচার করেছিল চক্রটি। ওই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে মোট মাদকের প্রায় ৮০ শতাংশই সরবরাহ করতো তার সিনালোয়া কার্টেল। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।