Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মিয়ানমারের সঙ্কট সমাধানে কূটনৈতিক উদ্যোগ শুরু ইন্দোনেশিয়ার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:৩৫ পিএম

মিয়ানমার সরকারের ফাঁস হয়ে যাওয়া একটি নথি থেকে জানা গেছে, আগামীকাল বৃহস্পতিবার ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি মিয়ানমার যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন; সম্ভবত মিয়ানমারের সঙ্কট সমাধানে একটি কূটনৈতিক উদ্যোগ শুরু করাই তার সফরের লক্ষ্য। মিয়ানমারে গত পহেলা ফেব্রুয়ারির সামরিক অভ্যুত্থানের পর দেশটিতে যাওয়া প্রথম বিদেশি দূত হবেন মারসুদি।

মারসুদির উদ্যোগের ফলে জান্তা সরকারের সঙ্গে কোনো চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে তাতে সু চির দলের জয় পাওয়া নভেম্বরের নির্বাচনের গুরুত্ব কমে যেতে পারে, এমন আশঙ্কায় উদ্বিগ্নবোধ করছেন মিয়ানমারের কিছু গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনকারী; তাই মারসুদির ভ্রমণকে তারা হয়তো স্বাগত চোখে দেখবেন না বলে ধারণা পর্যবেক্ষকদের।

মিয়ানমার বিষয়ে একটি বিশেষ বৈঠকের আয়োজন করার জন্য দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করছেন রেতনো। জানা গেছে, জাকার্তা প্রস্তাব দিয়েছে ওই অঞ্চলের দেশগুলো পর্যবেক্ষক পাঠাবে এটি নিশ্চিত করতে যেন মিয়ানমারের জেনারেলরা ‘সব দলকে নিয়ে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের’ আয়োজন করে।

এদিকে আজ বুধবার রাস্তায় নেমে আরও বিক্ষোভ দেখানোর জন্য প্রস্তুত হয়েছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা বিরোধী প্রতিবাদকারীরা, জানিয়েছে বার্তা রয়টার্স। গতকাল মঙ্গলবার সামগ্রিকভাবে রাস্তায় প্রতিবাদকারীদের উপস্থিতি কম থাকলেও বুধবার দেশটির বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গনের উত্তরাংশের মায়ানগোনে একটি বহুজাতিক সমাবেশ আয়োজনের পরিকল্পনা করেছে তারা।

মঙ্গলবার ইয়াঙ্গনে ইন্দোনেশিয়ার দূতাবাসের সামনে কয়েকশত লোক জড়ো হয়ে ওই নির্বাচন প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। বুধবার মিয়ানমারের মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্যদের সেখানে আরেকটি প্রতিবাদ করার কথা রয়েছে।

মিয়ানমারভিত্তিক আন্দোলনকারী গোষ্ঠী ‘ফিউচার ন্যাশন অ্যালায়েন্স’ এক বিবৃতিতে বলেছে, রেতনোর ভ্রমণ ‘সামরিক জান্তাকে স্বীকৃতি দেওয়ার সমতুল্যই হবে’।

মঙ্গলবার ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, রেতনো থাইল্যান্ডে আছেন আর তারপর ওই অঞ্চলের অন্যান্য দেশেও যেতে পারেন; কিন্তু কোন দেশ তা নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি। ইন্দোনেশিয়ার অবস্থান মিয়ানমারের নতুন নির্বাচনের পক্ষে নয় বলেও দাবি করেছেন তিনি। সূত্র : রয়টার্স।



 

Show all comments
  • Jack+Ali ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৫:৩৪ পিএম says : 0
    Indonesia didn't come to help the Rohingya muslim like any other country, they could have send the troops to fight barbarian Myanmar in order to free Arakan from Myanmar and hand over to Rohingya muslim'
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মিয়ানমার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ