পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কেন্দ্রের কঠোর হুশিয়ারির পরও বিদ্রোহীদের মদদ দিয়েই যাচ্ছেন ক্ষমতাসীন দলের এমপিরা। শুধু মদদ দিয়েই থেমে নেই। শেখ হাসিনার নৌকাকে হারিয়ে খালেদা জিয়ার ধানের শীষ বিজয়ী করতে দফায় দফায় বৈঠক করছেন একাদশ জাতীয় সংসদে নৌকা নিয়ে বিজয়ী এমপি। এমন অভিযোগ কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলা উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের। ওই এমপি হলেন কুমিল্লা-৪ আসনের আওয়ামী লীগের রাজী মোহাম্মদ ফখরুল।
জানা গেছে, কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন এ এফ এম তারেক। অথচ তিনি সাত বছর আগে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী ছিলেন। একাধারে তিনি কুমিল্লা-৪ (দেবীদ্বার) আসনের আওয়ামী লীগের এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের চাচা ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এ এফ এম ফখরুল ইসলাম মুন্সীর ছোট ভাই। ২০১৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত দেবীদ্বার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এ এফ এম তারেক দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে পরাজিত হন। ২০১৯ সালে দেবীদ্বার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান হন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জয়নুল আবেদীন। গত বছরের ৩ ডিসেম্বর তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
শূন্য ওই পদে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হবে। এখানে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ। আর বিএনপির প্রার্থী হয়েছেন এ এফ এম তারেক। চাচাকে বিজয়ী করতে শেখ হাসিনার প্রার্থীকে হারাতে সব ধরনের শক্তি প্রয়োগ করছেন এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুল। স্থানীয় যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগকে প্রভাবিত করছেন বিএনপির পক্ষে কাজ করতে। যারা এমপির ভয়ভীতি উপেক্ষা করে নৌকার পক্ষে কাজ করছেন তাদেরকে ঘরবাড়ি ছাড়া করার হুমকি দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি দেবীদ্বার উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ওই বছরের ২৭ জানুয়ারি দলীয় সমর্থন পেয়েছিলেন দেবীদ্বার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম সফিকুল আলম। পরদিন কুমিল্লার একটি রেস্তোরাঁয় এ এফ এম তারেককে পাল্টা দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এ এফ এম ফখরুল ইসলাম মুন্সী। নির্বাচনে তারেক দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন। ওই নির্বাচনে তারেক পরাজিত হন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনারস প্রতীকের এ কে এম সফিকুল আলমও পরাজিত হন।
সেই তারেক এবার বিএনপির প্রার্থী হয়েছেন। আর বিএনপির প্রার্থীকে বিজয়ী করতে দলীয় নিদের্শনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সব ধরনের প্রভাব ঘাটাচ্ছেন ক্ষমতাসীন দলের এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুল। ইতোমধ্যে কয়েকশত নেতাকর্মীকে কক্সাবাজার প্রমোদ ভ্রমনে পাঠিয়েছেন। আর যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগকে প্রভাবিত করে এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে দলের প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করাচ্ছেন। ইতোমধ্যে কয়েক দফায় ঢাকায় বৈঠক করছেন।
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ অভিযোগ করেন, স্থানীয় এমপি নৌকা ডুবাতে ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছে। স্থানীয় নেতাকর্মীদের বিভিন্ন ভয়ভীতি ও প্রলোভন দিয়ে আমার পক্ষে কাজ করা থেকে বিরত রেখেছে। নৌকার এমপি হয়ে কিভাবে নৌকার বিরোধীতা করে? ভোটের দিন এমপি প্রভাব না ঘাটালে মানুষ ভোট কেন্দ্রে আসতে পারলে আমি বিজয়ী হবো ইনশাআল্লাহ।
মাদারীপুর সদর পৌরসভায় মনোনয়ণ পাওয়ার কথা ছিল স্থানীয় এমপি শাজাহান খানের ভাইয়ের। কিন্তু তা না পাওয়ায় তিনি নৌকার বিপক্ষে কাজ করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ফরিদপুরের মধুখালি উপজেলা নির্বাচেনও নৌকার প্রার্থী শাহিদুল ইসলাম শহিদের পক্ষে স্থানীয় এমপি মনজুর হোসেন বুলবুলের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ। তিনি এ পর্যন্ত দলীয় নেতাকর্মীকে কোন নিদের্শনা দেননি।
হবিগঞ্জের হবিগঞ্জ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন আতাউর রহমান সেলিম। এখানে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন মিজানুর রহমান মিজান। স্থানীয়দের অভিযোগ জেলা থেকে নিবাচিত একজন সংসদ সদস্য যিনি মন্ত্রীসভায় রয়েছেন ওই বিদ্রোহীকে মদদ দিচ্ছেন।
যশোরের কেশবপুর পৌরসভায় নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন রফিকুল ইসলাম। স্থানীয় এমপি শাহীন চাকলাদারের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। এখন পর্যন্ত দলীয় প্রার্থীর পক্ষে তার অনুসারীদের মাঠে দেখা যায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।