পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলগুলো দ্রুত খুলে দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন, ভিসিকে স্মারকলিপি, জোর করে সম্মিলিতভাবে হলে প্রবেশসহ দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা। গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসব কর্মসূচি পালন করে তারা। মানববন্ধন থেকে হল খুলতে প্রশাসনকে ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম বেধে দেয়া হলেও ভিসির সাথে বৈঠকের পর আল্টিমেটাম প্রত্যাহার করে নেয় আন্দোলনকারীরা। শিক্ষার্থীরা বলছেন আজকের একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে থেকে যদি শিক্ষার্থীবান্ধব পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হয় তাহলে কঠোর আন্দোলনে যাবেন তারা।
গতকাল সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা ভিসি কার্যালয়ে ভিসি প্রফেসর ড. আখতারুজ্জামানের কাছে তাদের দাবির বিষয়ে স্মারকলিপি দেন। আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র জুনাইদ হুসেইন খান বলেন, সেশনজট যাতে আর দীর্ঘায়িত না হয়, সেজন্য মার্চ থেকেই যাতে হল খুলে দেওয়া হয়। আমরা মার্চ থেকে হলে উঠতে চাই। এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাখান করেন বলেন, মে মাস নয়, আমরা মার্চ মাসেই হলে উঠতে চাই। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসে কারণে ইতোমধ্যে এক বছর নষ্ট হয়ে গেছে। কোথাও সঠিক নিয়ম নীতি মানা হচ্ছেনা। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিরাজমান অচলাবস্থা বজায় রাখবার এখন আর কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। আমরা চাই, প্রশাসন বসে একটি সিদ্ধান্ত নিক।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে ঢাবি ভিসি বলেন, উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভা ডাকা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনা, পরীক্ষার তারিখগুলো পুনর্বিবেচনায় নেয়া সেক্ষেত্রে একাডেমিক কাউন্সিল এ বিষয়গুলোতে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। শিক্ষার্থীদের হাতে চাপ অনেক উল্লেখ করে তিনি বলেন, দীর্ঘ এক বছর বাইরে থাকা এই প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাজারে এটা খুব কঠিন, এতে কোন সন্দেহ নেই। আমরা সরকারি, জাতীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তগুলো সমন্বিত করে একটি সিদ্ধান্তে আমরা আসবো। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শিক্ষার্থীরা তালা ভেঙে হলে উঠার সম্ভাবনার বিষয়ে ভিসি বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা দায়িত্বশীল। তারা এ বিষয়ে দায়িত্বশীল আচরণ করবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। প্যানডামিকের সময়ে কোন বিষয়ে একক সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। বরং সমন্বিত সিদ্ধান্তের দিকে আমাদের এগোতে হবে বলে জানান ভিসি।
এদিকে সোমবার দুপুরে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শহীদুল্লাহ্ হলের মূল ভবনের ফলকে তালা ছাড়া আটকানো শিকল খুলে শিক্ষার্থীরা ভেতরে প্রবেশ করলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের বাধা দেয়া হয়নি। হলে উঠে উল্লাস প্রকাশ করতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। ভিসির সাথে বৈঠক শেষে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, কীভাবে অতি দ্রুত হল খোলা যায়, সে বিষয়ে আমরা স্মারকলিপি জমা দিয়েছি। কথাও বলেছি। ভিসি স্যার আমাদের জানিয়েছেন, আগামীকাল একাডেমিক কাউন্সিলের পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারব। আমরা ৭২ ঘন্টার যে আল্টিমেটাম দিয়েছি তা প্রত্যাহার করেছি। আমরা একাডেমিক কাউন্সিলের সভার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকবো। এরপর আমাদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।