গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
প্রকাশ্যে হেফাজত নেতা মাওলানা জসিম উদ্দিন ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হওয়ার দশ দিনেও গ্রেফতার হয়নি হত্যাচেষ্টার মূল পরিকল্পনাকারীরা। মূলহোতাদের গ্রেফতারের দাবিতে আজ রাজধানীর লালবাগে বিক্ষোভ সমাবেশ করে হেফাজতে ইসলাম লালবাগ জোন।
বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে হেফাজত নেতারা বলেন,গত ৯ ফেব্রুয়ারি হেফাজত নেতা মাওলানা জসিম ছুরিকাহত হওয়ার পর সিসিটিভি ফুটেজ অনুসরণ করে হামলার পরদিন একজন ও চারদিন পর হামলাকারীসহ দুইজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পর পুলিশের কাছে হামলাকারী মাসুম এ মর্মে স্বীকারোক্তি দেয় যে, আর্থিক চুক্তির বিনিময়েই মাওলানা জসিমকে হত্যার চেষ্টা করেছিল সে। বড় কাটারা এলাকার শাহিন হুজুর নামে পরিচিত এক ব্যক্তির সাথে তার আর্থিক লেনদেনের সে চুক্তি হয় বলেও জানায় আসামী মাসুম। তবে মাসুমের সে স্বীকারোক্তি গ্রহণের পর এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে। এখনো শাহিন হুজুর নামক সে ব্যক্তির গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
সমাবেশে হেফাজত নেতারা বলেন, শাহিনকে গ্রেফতার করলেই একে একে মূলহোতাদের পরিচয় বেরিয়ে আসবে। তাই অনতিবিলম্বে মাওলানা জসিম উদ্দিনকে হত্যার নির্দেশদাতা শাহিনসহ মূল পরিকল্পনাকারীদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। কোন মহলের ইশারায় যদি মূলহোতাদের রেহাই দেয়ার হীন চেষ্টা করা হয় তাহলে হেফাজতে ইসলামের সারাদেশের জনগণকে সাথে নিয়ে সন্ত্রাসী ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের বিরুদ্ধে দূর্বার প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে লালবাগ শাহী মসজিদ থেকে হেফাজতের বিক্ষোভ মিছিল আজিমপুর এতিমখানার সামনে গিয়ে সমাপ্ত হয়। হেফাজতে ইসলামের আজকের সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা যুবায়ের আহমদ, মাওলানা বশিরুল হাসান , মাওলানা রিয়াজাতুল্লাহ , মাওলানা নাসির উদ্দিন মাওলানা সাইফুল্লাহ হাবিবী, মাওলানা ফারুক আহমদ, মাওলানা ইসহাক, মাওলানা ত্বলহা , মাওলানা আব্দুল্লাহ ফরহাদ ও মাওলানা আবু বকর। দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা যুবায়ের আহমদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।