পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিলেটে সৎ মা ও দুই শিশু ভাইবোনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে আবাদ নামের এক নরপশু। গত বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ১২টার দিকে সিলেট শহরতলীর শাহপরাণ থানাধীন বিআইডিসি এলাকার মীরমহল্লায় নির্মম এ ঘটনা ঘটে। ঘাতক আবেদকে আটক করেছে পুলিশ। হত্যার কারণ হিসেবে আবাদ পুলিশকে জানিয়েছে, তার আপন মা পাশের বিয়ানীবাজার উপজেলায় বসবাস করেন। কিন্তু সৎ মা থাকেন শহরের শাহপরানে। ব্যবসায়ী বাবা দোকান দেখাশুনার জন্য কয়েক মাস আগে তাকে নিয়ে এসেছিলেন সৎ মায়ের কাছে। তবে তার সৎ মা এ বিষয়টি পছন্দ করেননি। কয়েক দিন ধরে সৎ মায়ের আচরণে ক্ষিপ্ত হয়েই ওঠে সে। এরই জেরে তাদের ওপর হামলা চালায় আবাদ। নির্মমতা এতোই বেদনাদায়ক যে হত্যা করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি আবাদ, লাশগুলো পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টাও করে সে।
পারিবারিক সূত্র জানায়, এর আগেও সৎ মা রুবিয়া ও তার সন্তানদের মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিলো ঘাতক আবাদ। এদিকে, স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হারিয়ে পাগল প্রায় বাবা আবদাল হোসেন। নিজের ছেলের এমন কান্ডে আফসোস করে আবদাল কেবল বলে চলছেন- ‘তার চেয়ে আমাকেই মেরে ফেললো না কেনো’।
সূত্র জানায়, পারিবারিক মনমানিল্যের জেরে ছুরিকাঘাতে মা রুবিয়া বেগম (৩০), শিশু কন্যা মাহা (৯)কে ঘটনাস্থলেই হত্যা করে আবাদ হোসেন (২১)। এ সময় ছুরিকাঘাতে গুরতর আহত তাহসান (৭) ওসমানী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ২টার দিকে মারা যায়। রাতে হত্যাকান্ডের পর ঘরে আগুন দিয়ে তালাবদ্ধ করার সময় প্রতিবেশিরা আবাদকে ছুরিসহ আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার নেপথ্যে কারণও শিকার করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় পিবিআই’র একটি দল সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজে লাশগুলো পর্যবেক্ষণ করতে যায়।
শাহপরান থানার ওসি সৈয়দ আনিসুর রহমান জানান, পারিবারিক কলহে সৎ মা-ভাইবোনকে দা দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপায় ও ছুরিকাঘাত করে কিশোর আবাদ। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান ঘাতকের সৎ মা ও ভাই-বোন। এছাড়া তিনি বলেন, লাশগুলো এখনও মর্গে। আজ শনিবার ময়না তদন্ত হবে। এরপর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এই ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।