মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতীয় কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে জলপাইগুড়ি রেল অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাল সারা ভারত কিষাণ সংঘর্ষ সমন্বয় কমিটি। বৃহস্পতিবার ধুপগুড়ি স্টেশনে রেল অবরোধের পাশাপাশি জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে রেল লাইনের উপর বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা৷ নেতৃত্বে ছিলেন জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক সলিল আচার্য, প্রাক্তন সংসদ সদস্য জীতেন দাস সহ বিভিন্ন নেতারা। জেলায় জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন ছাড়াও এদিন আমবাড়ি ও ধুপগুড়ি স্টেশনে রেল অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনকারীরা। মোট ছটি স্টেশনে অবরোধ হয় বলে দাবি আন্দোলনকারীদের। -কলকাতা ২৪
বিজেপি সরকারের ‘বিপজ্জনক’ কৃষি আইনের বিরোধিতায় পশ্চিমবঙ্গেও হবে মহাপঞ্চায়েত, বুধবার এমনই জানিয়েছেন ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকাইত। হরিয়ানার রোহতকে তিনি বলেন, বিধানসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গেও কৃষি আইন বিরোধী আন্দোলন হবে। হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশের ধাঁচে পশ্চিমবঙ্গেও মহাপঞ্চায়েত ডাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে বিকেইউ সংগঠন মূলত পশ্চিম ও উত্তর ভারতে ছড়িয়ে। আর পশ্চিমবঙ্গ সহ বিভিন্ন পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ও দেশের অন্যত্র রয়েছে সিপিআইএমের শাখা সংগঠন সারা ভারত কৃষক সভা। বুধবার কৃষক সভার সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা বলেন, আমরা যারা সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার নেতৃবৃন্দ, তাঁরা ঠিক করেছি বিভিন্ন রাজ্যে গিয়ে বিজেপির কৃষি বিরোধী আইনের সম্পর্কে প্রচার করব। এক্ষেত্রে কোনও দল নয়, যাবেন সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার সদস্যরা।
হান্নান মোল্লা আরও জানান, এই প্রক্রিয়া একাধিক ধাপে হবে। এখন যেমন উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা এবং রাজস্থানে হচ্ছে। সেখানে বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা যাচ্ছেন সেখানে জানানো হচ্ছে কেন আমরা ই কালো আইনের বিরোধিতা করছি। কৃষক নেতা টিকাইত বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের অবস্থা ভালো নয়। ফসলের সঠিক দাম মিলছে না সে রাজ্যে। কৃষকদের অধিকারের জন্য লড়াই হবে। তিনি বলেছেন, আমরা পশ্চিমবঙ্গে যাব৷ ওখানকার কৃষক ভাইদের সব বোঝাব। কৃষকদের বিপক্ষে আইন তৈরি করেছে যারা তাদের ভোট দেবেন না এই বার্তা দেওয়া হবে। কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরোধিতা ও ফসলের ন্যুনতম দামের দাবিতে লক্ষ লক্ষ কৃষক দিল্লির উপকণ্ঠে অবস্থান করছেন। গত ২৬ জানুয়ারি দিল্লির দিকে কৃষকদের ট্রাকটর মার্চ ঘিরে বিশৃঙ্খলার পর পরিস্থিতি জটিল হয়। তবে সারা ভারত কৃষকসভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা জানান, বিশৃঙ্খল আন্দোলন কাম্য ছিল না। আন্দোলন হবে শান্তিপূর্ণ।
বিকেইউ নেতা রাকেশ টিকাইতকে গ্রেফতার করার চেষ্টার প্রতিবাদে উত্তর ও পশ্চিম ভারতের কৃষকরা নতুন করে আন্দোলনে নেমেছেন। পাশাপাশি হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, পাঞ্জাব, রাজস্থানের গ্রামগুলিতে শুরু হয়েছে কৃষক মহাপঞ্চায়েত। বিরাট বিরাট জনসমাগম থেকে কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরোধিতা তুঙ্গে। বিজেপির তীব্র সমালোচনা করছেন কৃষক নেতারা। মহাপঞ্চায়েতগুলির ভিড় দেখে উত্তর প্রদেশ ও হরিয়ানার রাজনৈতিক সমীকরণ বদলে যাবে বলেই রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন। দিল্লি ঘিরে কৃষক আন্দোলনের আঁচ ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে পড়েছে। বিভিন্ন জেলায় কৃষক সভার উদ্যোগে ট্রাকটর মিছিলে জমায়েত ছিল নজরকাড়া। কৃষক আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে বিরোধী বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের কৃষি আইনের বিরোধিতা করা ‘নাটক’ ছাড়া কিছুই নয়। দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের বার বার এনে নির্বাচনের আগে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্র কৃষি আইনের সুফল বোঝাতে জনসভা করছে।
২৬ জানুয়ারি দিল্লিতে ট্রাক্টর মিছিল, ৬ ফেব্রুয়ারি ‘চাক্কা জ্যাম’ আন্দোলনের পর ডাক দেওয়া হয়েছিল চার ঘণ্টার ‘রেল রোকো’ বা রেল অবরোধ কর্মসূচির। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, বিহার, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গসহ বিভিন্ন রাজ্যে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রেল অবরোধ কর্মসূচি চলে। রেল মন্ত্রণালয় আগে থেকেই দূরপাল্লার অনেক ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড় করিয়ে রাখার কথা জানিয়ে দিয়েছিল। বিভিন্ন রাজ্যে অনেক ট্রেনযাত্রা বাতিলও করা হয়। ভারতীয় ‘কিষান ইউনিয়ন’-এর নেতা রাকেশ টিকায়েত বলেছেন, সরকার যেন না ভাবে কৃষকেরা সবাই ধরনা ছেড়ে ফসল কাটতে গ্রামে চলে যাবেন। দিল্লির সীমান্ত খালি করা হবে না। প্রয়োজনে ক্ষেতের ফসল জ্বালিয়ে দেওয়া হবে। তবু আন্দোলন ছেড়ে কৃষক সরবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।