মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কৃষি আন্দোলন, করোনা মহামারিতে এমনিতেই বিপদে রয়েছে ভারতের মোদি সরকার। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে তাদের বিরুদ্ধে নতুন করে একটি করা হলো। এই মামলায় হেরে গেলে বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ১০ হাজার ২২০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ গুণতে হবে দিল্লিকে।
পুরনো লেনদেনে ভারত সরকারের চাপানো করের দাবিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে একাধিক সংস্থা মামলা ঠুকেছিল। তার মধ্যে একটি হল ব্রিটিশ কেয়ার্ন এনার্জি। বকেয়া করের দাবি একাংশ আদায়ের জন্য মনমোহন সিং সরকারেরর আমলে কেয়ার্ন এর সম মূল্যের শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছিল। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পরে গত বছর আন্তর্জাতিক সালিশি আদালত কেয়ার্ন এনার্জির পক্ষে রায় দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক আদালতের সেই রায় দ্রুত কার্যকর করতে ভারত সরকারের উপরে চায় সৃষ্টির জন্য নয়া আইনি পথ নিয়েছে ব্রিটিশ ওই সংস্থাটি। কেয়ার্ন এনার্জির তরফে একটি মার্কিন জেলা আদালতে এই নিয়ে মামলা করা হয়েছে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি এই মামলা দাখিল করা হয়।
আবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতের এই রায় স্বীকৃতি দেওয়া হোক এবং সেই ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা হোক। শুধু তাই নয়, ওই ক্ষতিপূরণের উপরে ২০১৪ সাল থেকে সুদও চাওয়া হয়েছে। এই মামলায় ভারত সরকারের হার হলে বিপুল অঙ্কের অর্থ গচ্ছা যাবে। ব্রিটেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ভঙ্গ করে এই কর চাপানো হয়েছে বলে সালিশি আদালত তার রায়ে মন্তব্য করেছিল। আন্তর্জাতিক কোর্ট আরও জানিয়েছিল, কেয়ার্ন-কে ১২০ কোটি মার্কিন ডলার জরিমানা দিতে বাধ্য থাকবে ভারত সরকার। বাংলাদেশী মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার ২২০ কোটি টাকা। এই মামলায় মোদি সরকার এখনও তার অবস্থান স্পষ্ট করেনি।
করোনার প্রভাবে আয় কমে যাওয়ায় এমনিতেই প্রবল আর্থিক চাপে রয়েছে ভারত সরকার। আর্থিক ঘাটতি বাড়তে থাকায় বাধ্য হয়ে শূন্য রাজকোষ ভরাতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক বিক্রির মতো নজিরবিহীন পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। এমনই এক প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেই নতুন আইনি চ্যালেঞ্জে পড়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিগত ইউপিএ সরকারের আমলে রেট্রোস্পেকটিভ কর আইন তৈরি হয়েছিল। পরে এই আইন অনুসারে বিভিন্ন সংস্থার কাছে বকেয়া কর দাবি করে নোটিশ পাঠায় আয়কর দফতর। আর তার জেরে তৈরি হয় বিতর্ক। সূত্র: রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।