Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আরও শক্তিশালী হচ্ছে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০১ এএম

আরও শক্তিশালী এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন সাবমেরিন বা ডুবোজাহাজ পেতে চলেছে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী। এর ফলে সমুদ্রে সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে তাদের। এটি তৈরি করছে ডিফেন্স অ্যাডভান্সড রিসার্চ প্রোজেক্টস এজেন্সি (ডিএআরপিএ)। সামুদ্রিক মাছ ‘স্টিং রে’-র আদলে তৈরি করা হচ্ছে জাহাজটিকে।
ডিএআরপিএ সূত্রে জানা গেছে, এই সাবমেরিন হবে একেবারে ভিন্ন রূপের। সম্পূর্ণ মানববিহীন এই জাহাজের নাম দেয়া হয়েছে ‘মানতা রে’। এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিশেষত্ব হল, এটাকে এমন ভাবে তৈরি করা হচ্ছে যাতে মাসের পর মাস এমনকি কয়েক বছর এই জাহাজের শক্তি অক্ষত থাকবে। ফলে কোনও যুদ্ধ বা অভিযানের সময় জ্বালানির জন্য কোনও নৌঘাঁটিতে ফিরে আসতে হবে না। ‘মানতা রে’-র বিশেষ আকৃতি এটাকে শত্রুপক্ষের অগোচরে থেকে আঘাত হানতে সাহায্য করবে। সমুদ্র থেকেই যাতে এই জাহাজ শক্তি সঞ্চয় করতে পারে সে দিকে লক্ষ্য রেখেই এগোচ্ছে প্রস্তুতকারী সংস্থা। এই জাহাজে থাকছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ছোট ইলেকট্রনিক যুদ্ধাস্ত্র বহন করার ক্ষমতা। শত্রুপক্ষের নজর এড়িয়ে নিখুঁত নিশানায় আঘাত হানার ক্ষমতা রয়েছে এই জাহাজের।
যুক্তরাষ্ট্রে নৌবাহিনীর মানববিহীন জাহাজ ‘ওয়েভ গ্লাইডার’ যে ভাবে তৈরি করা হয়েছে, ‘মানতা রে’-তে সীমাহীন শক্তির ভান্ডার গড়ে তুলতে অনেকটা সেই প্রক্রিয়াই অনুসরণ করা হতে পারে।
তবে এ ক্ষেত্রে সমস্যাও রয়েছে। ওয়েব গ্লাইডার-এর শক্তির উৎস হল সূর্য এবং সমুদ্রের ঢেউ। কিন্তু ‘মানতা রে’-র ক্ষেত্রে সূর্যের শক্তিকে যেমন কাজে লাগানো যাবে না। তেমন সমুদ্রের ঢেউয়ের শক্তিকেও নয়। কারণ সমুদ্রের গভীরে চলার সময় এই দুই শক্তি কাজ করবে না। ফলে, থার্মাল ইঞ্জিন এবং থার্মোইলেকট্রিক মডিউলের মতো বিশেষ পদ্ধতিকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সূত্র : ফোর্বস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাষ্ট্র


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ