গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় রামপুরা বনশ্রী ও বনানী কড়াইল বস্তিতে দুই শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গত রোববার রাতে লাশ দুটি উদ্ধারের পর ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠায় পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে অচেতন অবস্থায় নাদিয়াকে (২১) হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার বাবা শফিউল আলম। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরিবারের বরাত দিয়ে বাচ্চু মিয়া জানান, নাদিয়া রামপুরা বনশ্রীর বি ব্লকের ছয় নম্বর রোডের ১০ নম্বর বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকতো। এদিকে কড়াইল বস্তির বউ বাজার ক ব্লকের একটি বাড়ি থেকে রোববার রাতে পপি খাতুনের (১৩) লাশ উদ্ধার করে বনানী থানা পুলিশ। বনানী থানার এসআই নওশাদ আলী বলেন, নিহতের মায়ের সঙ্গে অভিমান করে রাতে ঘরের দরজা বন্ধ করে বাঁশের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দেয় সে।
পপির বড় ভাই এখলাস মন্ডল জানান, স্থানীয় ইরান কনসেপ্ট একাডেমির ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ছিলো পপি। সে পড়ালেখা ঠিকমত করতো না, বাইরে ঘুরাঘুরি করতো, ঠিকমত খাবারও খেতো না। এইসব বিষয় নিয়ে রাতে মা তাকে বকাঝকা করে। এই কারণেই অভিমান করে সে ঘরের দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।