গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর বনানীর কড়াইল বস্তি এলাকায় তিন বছরের এক শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকালে দিকে এই ঘটনা ঘটে। অচেতন অবস্থায় শিশুর বাবা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরবর্তীতে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ জানায়, প্রাথমিকভাবে শিশুটির যৌনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
শিশুটির বাবা মহিউদ্দিন জানান, গতকাল সকাল সাড়ে আট টার দিকে ওই বাসার দুই তালার সিঁড়ি ঘরের পাশে অচেতন অবস্থায় পড়ে ছিল তার মেয়ে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢামেকে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ধরমন্ডল গ্রামে। তিন সন্তানের মধ্যে বড় দুই সন্তান গ্রামে থাকে এবং ওই শিশু ও স্ত্রীকে নিয়ে তিনি ঢাকায় থাকেন। নিহত শিশুটি পরিবারে সবার ছোট।
তিনি আরও জানান, ঘটনার দিন শিশুর মা তার কাছে রেখে গার্মেন্টসে কাজ করতে যায়। সকালে মেয়ে গান শুনতে চাইলে তিনি টিভি ছেড়ে দিয়ে ঘুমিয়ে যান। পরে ঘুম থেকে উঠে দেখেন মেয়ে পাশে নেই। খোঁজাখুঁজির পরে দেখতে পান বাসার দোতালার সিঁড়ির পাশে অচেতন অবস্থায় শিশুটি পড়ে আছে।
এদিকে, শিশু তানজিনার মা জরিনা বেগম সন্তানের মৃত্যুর খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ছুটে এসে কাঁদতে কাঁদতে সাংবাদিকদের জানান, হবিগঞ্জের মাধবপুরে মায়ের বাড়িতে থাকে তার দুই ছেলে। তিনি তার ছোট মেয়ে তানজিনাকে নিয়ে বনানী কড়াইল বস্তিতে থেকে গার্মেন্টসে চাকরি করেন। আর তার স্বামী মহিউদ্দিন বনানীর একটি খাবার হোটেলে চাকরি করেন। থাকেন সেই হোটেলেই। তিনি নিয়মিত কাজে যেতেন না এবং তিনি সংসারের খরচ দিতেন না। গত ১০ থেকে ১২ দিন ধরে মহিউদ্দিন তার সঙ্গেই ছিলেন। বাসায় থাকলে সারাক্ষণ তিনি আমার সঙ্গে ঝগড়া করতেন।
তিনি জানান, সকালে ঝগড়া হওয়ার এক পর্যায়ে তিনি বাসা থেকে বেরিয়ে তার এক আত্মীয়ের বাসায় যান। এর কিছুক্ষণ পর তিনি স্বামী মহিউদ্দিনের মোবাইল নম্বরে কল দিয়ে মেয়ে তানজিনার খবর জানতে চান। এ সময় মহিউদ্দিন বলেন, তানজিনা সিঁড়ি থেকে পড়ে গেছে। তাকে ঢামেক হাসপাতালে আনা হয়েছে। এ খবর শুনে তিনি হাসপাতালে ছুটে গিয়ে মেয়ের লাশ দেখতে পান। জরিনা আরও জানান, গত সাত মাস আগে তিনি মহিউদ্দিনকে বিয়ে করেছেন। তার আগের স্বামী গত আড়াই বছর আগে তাকে ছেড়ে চলে গেছেন। তিনি কোথায় আছেন তা তিনি জানেন না।
এ বিষয়ে বনানী থানার ওসি নুরে আজম মিয়া জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সৎ বাবা মহিউদ্দিনের হাতে শিশু তানজিনা হত্যার শিকার হয়েছে। আরও ধারণা করা হচ্ছে তানজিনাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। আটক মহিউদ্দিনকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে হত্যার কারণ জানা যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।