Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষার দাবিতে মানববন্ধন

ঢাবি বিজ্ঞান অনুষদ

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০১ এএম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজ্ঞান অনুষদের বিভিন্ন বিভাগে সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষার দাবিতে মানববন্ধন করেছে অনুষদের শিক্ষার্থীরা। গতকাল সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। শিক্ষার্থীদের ২ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, বিজ্ঞান অনুষদে শিক্ষার্থীদের অকৃতকার্য বিষয়সমূহে বিশেষ ফলোন্নয়ন পরীক্ষার ব্যবস্থা করা ও করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় পরবর্তী বর্ষে কৃতকার্য হওয়ার নূন্যতম সিজিপিএ বিষয়টি শুধুমাত্র এবছরের জন্য তুলে দেয়া।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিজ্ঞান অনুষদের বিভাগগুলোতে ফলাফল প্রকাশে বিলম্বিত হওয়ার কারণে পুনঃভর্তি প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। ফলাফল প্রকাশে ৬ থেকে ৭ মাস সময় লাগায় পরবর্তী বর্ষে ক্লাস করা, ইনকোর্স পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা, এসাইনমেন্ট করার পর জানতে পারে তারা অকৃতকার্য। ফলে তাদের শিক্ষাজীবনে মারাত্মক ক্ষতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মোরসালিন অনুর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন, শহীদুল্লাহ হল ছাত্রসংসদের সাবেক ভিপি হোসাইন আহমেদ সোহান, জসীমউদ্দিন হল ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি ফরহাদ আলীসহ বিজ্ঞান অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ভিসি এবং বিজ্ঞান অনুষদের ডিন বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আসিফ খান বলেন, গত বছরও আমরা এই দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছিলাম। তখন কর্তৃপক্ষ আমাদের কিছু দাবি সাময়িকভাবে পূরণ করেছিলো। এখন আবার একই দাবিতে আমাদের এখানে দাঁড়াতে হচ্ছে। শিক্ষকদের অবহেলা ও দায়িত্বহীনতার জন্যই শিক্ষার্থীদের এসব পরিণতি ভোগ করতে হচ্ছে। রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী আশিক রহমান বলেন, বিজ্ঞান অনুষদের এত শিক্ষার্থী রিএড নিতে হয় কেনো বা ফেলই বা করে কেনো? একটা তদন্ত করে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট সবার সামনে প্রকাশ করতে হবে। শিক্ষার্থীদের ভাষ্যমতে, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত, পরিসংখ্যান বিভাগগুলোতে প্রতি বছর প্রায় ১৪০-১৪৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। কিন্তু প্রতিবছর পাস করে বের হয় মাত্র ৪০-৪৫ জন শিক্ষার্থী। এর পুরো দায় শুধু শিক্ষার্থীদেন নয়। বিভাগগুলোর শিক্ষক, চেয়ারম্যান, অনিষদের ডিন এ দায় এডাতে পারেন না। শিক্ষার্থীরা যোগ্যতার প্রমাণ করেই বিভাগগুলোতে ভর্তি হয়।

ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসন একের পর এক শিক্ষার্থী বিরোধী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে এবং কথা দিয়ে কথা না রাখার যে সংস্কৃতি চালু করেছে, তারই ফলাফল হিসেবে আমরা দেখতে পাই যে বিজ্ঞান অনুষদ আজকে ছয়-সাত-আট মাস পরে তাদের ফলাফল প্রকাশ করে। এত দীর্ঘ সময় পর একজন শিক্ষার্থী জানতে পারে সে অকৃতকার্য হয়েছে। তখন তাকে আবার নতুন করে আগের বছরে পড়াশোনা শুরু করে দুই এক মাসের প্রস্তুতিতে আবার নতুন করে পরীক্ষা দিতে হয়। সঞ্জিত চন্দ্র দাস বলেন, ডিজিটাল যুগে এসেও বিজ্ঞান অনুষদের বিভাগগুলোর অচলায়তন এবং শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি মেনে নেওয়া যায় না। শিক্ষকরা সব সময় শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ম-নীতির দোহাই দিয়ে হয়রানির শিকার করে। শিক্ষার্থীদের জন্যই এ বিশ্ববিদ্যালয়। তাদের যেকোনো সংকট-সমস্যার সমাধান আগে করতে হবে। মানববন্ধন থেকে অবিলম্বে এসব সমস্যার সমাধান করে, সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়। অন্যথায় তারা কঠোর কর্মসূচি দিয়ে বিশ^বিদ্যালয় অচল করে দিয়ার হুমকি দেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঢাবি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ