Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসরাইলি নেতাদেরকে উপেক্ষা করেছেন বাইডেন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৭:১০ পিএম

কিছু বলার চেয়ে যে নীরব থেকেই অনেক বেশি জোরালো বার্তা দেয়া যায়, বৈদেশিক নীতির ক্ষেত্রে সেটিই করে দেখালেন নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গত ৪০ বছরের মধ্যে এই প্রথমবারের মতো, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসাবে ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম কয়েক দিনের মধ্যে তিনি ইসরাইলি নেতাদের সাথে যোগাযোগ করেননি।

বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণ করার পরে প্রায় ১ মাস পার হতে চলেছে। ইতিমধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিলেও তিনি এখনও ইসরাইলি নেতাদের সাথে দেখা করেননি বা কথা বলেননি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন ফ্রি বেকন-এর খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট বাইডেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে যোগাযোগ করেছেন তবে মধ্য প্রাচ্যের যুক্তরাষ্ট্রের নিকটতম মিত্র ইসরাইলের নেতাদের সাথে এখনো কথা বলেননি।

বেকন অনুসন্ধান করে জানিয়েছে, ১৯৮১ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগানের পরে বাইডেনই প্রথম প্রেসিডেন্ট যিনি হোয়াইট হাউসে কাজ শুরু করার পরে প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে ইসরাইলের সাথে যোগাযোগ করেননি। তারা জানিয়েছে যে, জর্জ ডাব্লিউ বুশ ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম পাঁচ দিনের ইসরাইলে ফোন দিয়েছিলেন, বিল ক্লিন্টন দিয়েছিলেন ৩ দিনের মধ্যে। জর্জ ডাব্লিউ বুশ ফোন দিয়েছিলেন ৭ দিনের মধ্যে। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ডোনাল্ড ট্রাম্প ফোন দিয়েছিলেন যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় দিনে।

এ বিষয়ে টেক্সাসের মার্কিন রিপ্রেজেন্টেটিভ রনি জ্যাকসন বেকনকে বলেন, ‘তিনি জানেন না যে, বাইডেন আসলে তাদেরকে এড়িয়ে চলতে চাইছেন কি না।’ তিনি বলেন, ‘আমেরিকা-ইসরাইল সম্পর্ক আমাদের জাতীয় সুরক্ষাসহ বিভিন্ন কারণে গুরুত্বপূর্ণ। আমি প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে তার দলের কট্টর বামপন্থী নীতি উপেক্ষা করার এবং প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে ফোন দেয়ার মাধ্যমে ইসরাইলের সাথে আমাদের অংশীদারিত্বের প্রতি দৃঢ় সমর্থন প্রদর্শন করার আহ্বান জানাই।’

বাইডেনের প্রশাসন ইসরাইলকে মিত্র হিসাবে তালিকাভুক্ত করবে না বলে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল বেকন। গত সপ্তাহে একটি সংবাদ সম্মেলনে হোয়াইট হাইসের মুখপাত্র জেন সাকিকে সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। এক রিপোর্টার তাকে প্রশ্ন করেন, ‘আমি জানি যে আপনি বলছেন আব্রাহাম অ্যাকর্ডের মতো নীতিমালাসহ বিষয়গুলো এখনও পর্যালোচনাধীন রয়েছে, তবে দয়া করে আমাদেরকে কি কেবল একটি বিস্তৃত ধারণা দিতে পারেন যে, মধ্য প্রাচ্যে কি অর্জন করতে চাইছে বাইডেনের প্রশাসন?’ তিনি আরও জিজ্ঞাসা করন, ‘প্রশাসন কি সউদী এবং ইসরাইলিদেরকে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র হিসাবে বিবেচনা করে?’

সাকি এ বিষয়ে সরাসরি কোন উত্তর না দিয়ে বলেন, ‘আমি মনে করি এগুলো চলমান প্রক্রিয়া এবং অভ্যন্তরীণ বিষয়। এগুলোর জন্য আন্তঃসংযোগ প্রক্রিয়া রয়েছে। আমার মনে হয় আমরা গত সপ্তাহে নিশ্চিত করেছি যে, মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে নিয়ে একটি বৈঠকের আয়োজন করতে যাচ্ছি।’ এর পরে তিনি প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যেয়ে বলেন, ‘নতুন প্রশাসন কাজ শুরু করেছে কেবল সাড়ে তিন সপ্তাহ হয়েছে। আমি মনে করি যে, আমাদের জাতীয় সুরক্ষার পদ্ধতি বিভিন্ন ক্ষেত্রে কী হবে তা পুরোপুরি নিশ্চিত করার আগে এ বিষয়ে নীতি প্রক্রিয়াগুলো নির্ধারণের জন্য আরও সময়ের প্রয়োজন।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাষ্ট্র


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ