নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গেই হয়ে গড়লেন রেকর্ড। বার্সেলোনার ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৫০৫ লা লিগার ম্যাচ খেলা সাবেক সতীর্থ জাভি হার্নান্দেসকে করলেন স্পর্শ। ক্লাবের ইতিহাসে রেকর্ড ছোঁয়ার রাতটাকে আপন রঙে রাঙালেন লিওনেল মেসি। ট্রেডমার্ক শটে অসাধারণ দুটি গোল করার পাশাপাশি সতীর্থের গোলে রাখলেন অবদান। নজরকাড়া ফুটবলে দেপোর্তিভো আলাভেসকে উড়িয়ে দিল বার্সেলোনা। গতপরশু রাতে ক্যাম্প ন্যুয়ে লা লিগার ম্যাচটি ৫-১ গোলে জিতেছে রোনাল্ড কোমানের দল। মেসির মতো দুই গোল করেন ফ্রান্সিসকো ত্রিনকাও, তাদের আরেক গোলদাতা জুনিয়র ফিরপো। এই নিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচে গোল পেলেন মেসি। আসরে তার গোল হলো ১৫টি। এক গোল বেশি নিয়ে গোলদাতার তালিকায় চ‚ড়ায় সাবেক সতীর্থ অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের লুইস সুয়ারেজ।
গত অক্টোবরে নিজেদের মাঠে বার্সেলোনাকে ১-১ গোলে রুখে দিয়েছিল আলাভেস। এবার তাদের কোনো সুযোগই দেননি মেসি-গ্রিজমানরা। শুরুর দিকে স্বাগতিকদের কিছুটা ক্লান্ত-ছন্নছাড়া মনে হলেও বিরতির পর পাল্টে যায় চিত্র; স্বরূপে নিজেদের মেলে ধরে তারা। আবারও চিরপ্রতিদ্ব›দ্বী রিয়াল মাদ্রিদকে টপকে লিগ টেবিলের দুইয়ে উঠল বার্সেলোনা। ২২ ম্যাচে দুই দলেরই অবশ্য পয়েন্ট সমান ৪৬।
মৌসুমে শুরুর অধারাবাহিকতা কাটিয়ে দারুণ ছন্দে এগিয়ে চলার মাঝে গত বুধবার ছন্দপতন হয় বার্সেলোনার; হেরে বসে কোপা দেল রে সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে সেভিয়ার বিপক্ষে। তবে লা লিগায় ফিরে পুরনো রূপেই ধরা দিল দলটি। লিগে টানা সাত ম্যাচ জিতল তারা। দিনের প্রথম ম্যাচে গ্রানাদাকে ২-১ গোলে হারায় শিরোপার দিকে ছুটে চলা অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। ২১ ম্যাচে ১৭ জয় ও তিন ড্রয়ে তাদের পয়েন্ট ৫৪।
এর চেয়েও বড় রোমাঞ্চের পসরা সাজিয়ে বসেছিল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ। আগের ম্যাচের মতো ফের ভুল করে বসলেন আলিসন। লিভারপুল সাত মিনিটের মধ্যে হজম করল তিন গোল। পিছিয়ে পড়েও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে শিরোপাধারীদের হারিয়ে দিল লেস্টার সিটি। লেস্টারের কিং পাওয়ার স্টেডিয়ামে লিগের ম্যাচে ৩-১ গোলে হেরেছে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। সবগুলো গোলই হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে। মোহামেদ সালাহ লিভারপুলকে এগিয়ে নেওয়ার পর সমতা টানেন জেমস ম্যাডিসন। লেস্টারের অন্য দুই গোলদাতা জেমি ভার্ডি ও হার্ভে বার্নস।
লিগ শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে ভীষণ বাজে সময়ের মধ্যে দিয়ে যাওয়া লিভারপুল এই নিয়ে টানা তিন ম্যাচে হারের তেতো স্বাদ পেল। শেষ ১০ ম্যাচে তাদের জয় কেবল দুটি। এই জয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে টপকে দুইয়ে উঠেছে লেস্টার। ২৪ ম্যাচে ১৪ জয় ও ৪ ড্রয়ে তাদের ৪৬ পয়েন্ট। টানা তিন ম্যাচে হারা লিভারপুল ২৪ ম্যাচে ১১ জয় ও সাত ড্রয়ে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে চারে আছে।
রাতটাকে আরো জমিয়ে দিয়েছে সময়ের সেরা দুই কোচ পেপ গার্দিওলা ও হোসে মরিনহোর লড়াই। তবে এবারও সাবেক রিয়াল বসকে হতাশা উপহার দিয়েছেন সাবেক বার্সা কোচ। যার কৃতিত্ব পুরোটাই ইলকাই গিনদোয়ানের। প্রতিপক্ষের সীমানা ফের জ্বলে উঠলেন জার্মান তারকা। শিরোপা পুনরুদ্ধারের পথে এগিয়ে চলা ম্যানচেস্টার সিটি পেল আরেকটি দারুণ জয়। টটেনহ্যাম হটস্পারকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষস্থান আরও মজবুত করেছে গার্দিওলার দল। ম্যানচেস্টারের ইতিহাদ স্টেডিয়ামে লিগের ম্যাচটি ৩-০ গোলে জিতেছে সিটি। রদ্রির গোলে দলটি এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে জোড়া গোল করেন গিনদোয়ান। সবশেষ ১২ লিগ ম্যাচে এটি তার একাদশ গোল। গত রোববার লিভারপুলকে ৪-১ ব্যবধানে উড়িয়ে দেওয়া ম্যাচে জোড়া গোল করেছিলেন ৩০ বছর বয়সী ফুটবলার।
সব প্রতিযোগিতা মিলে এ নিয়ে টানা ১৫ ম্যাচ জিতল সিটি। লিগে এটি তাদের টানা একাদশ জয়। এই জয়ে ৭ পয়েন্টে এগিয়ে শীর্ষে রইলো সিটি। ২৩ ম্যাচে ১৬ জয় ও পাঁচ ড্রয়ে তাদের পয়েন্ট ৫৩। শেষ পাঁচ ম্যাচে চতুর্থ হারের তোতো স্বাদ পাওয়া টটেনহ্যাম সমান ম্যাচে ১০ জয় ও ছয় ড্রয়ে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে আছে আটে। তাদের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলে ১ পয়েন্টে পিছিয়ে তিনে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
এদিকে, পুরো ম্যাচে আক্রমণে একচেটিয়া আধিপত্য করল জুভেন্টাস। কিন্তু পেল না কাক্সিক্ষত গোলের দেখা। লিগ শিরোপাধারীদের হারিয়ে এক ম্যাচ পর সিরি ‘আ’য় জয়ে ফিরল নাপোলি। প্রতিপক্ষের মাঠে ১-০ ব্যবধানে হেরেছে আন্দ্রেয়া পিরলোর দল। লিগে গত মৌসুমে এখানে ২-১ গোলে হেরেছিল তুরিনের দলটি।
পুরো ম্যাচে গোলের উদ্দেশে জুভেন্টাস শট নেয় মোট ২৩টি, এর ৬টি ছিল লক্ষ্যে। আর নাপোলির ৮ শটের ২টি লক্ষ্যে ছিল। আসরে টানা তিন জয়ের পর হারের তেতো স্বাদ পেল তুরিনের বুড়িরা। ২১ ম্যাচে ১৩ জয় ও এক ড্রয়ে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে চারে আছে নাপোলি। সমান ম্যাচে ২ পয়েন্ট বেশি নিয়ে তিনে জুভেন্টাস। ইন্টার মিলান ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ও এসি মিলান ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে।
এছাড়া, চোটে ছিটকে যাওয়া নেইমারের অনুপস্থিতিতে পিএসজিকে পথ দেখালেন ইউলিয়ান ড্রাক্সলার ও মোইজে কিন। মাঝে নিস ঘুরে দাঁড়িয়ে জমিয়ে তুলল ম্যাচ। শেষ পর্যন্ত স্বস্তির জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে লিগ ওয়ানের শিরোপাধারী। উঠেছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষেও। নিজেদের মাঠে ২-১ গোলে জেতে পিএসজি। এ নিয়ে লিগে টানা তৃতীয় এবং সব প্রতিযোগিতা মিলে টানা চতুর্থ জয় পেল মাওরিসিও পচেত্তিনোর দল। এই জয়ে পরিসংখ্যানের পাতায় নিসের ওপর আধিপত্য ধরে রাখে পিএসজি। ঘরের মাঠে দলটির বিপক্ষে এই নিয়ে ১০ ম্যাচ অপরাজিত রইলো তারা; সাত জয় ও তিন ড্র। ২৫ ম্যাচে ১৭ জয় ও তিন ড্রয়ে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ফিরেছে পিএসজি। সমান পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে এক ম্যাচ কম খেলা লিল। ২৪ ম্যাচে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে লিওঁ। ৪৮ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে মোনাকো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।