শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) কলকাতার ৪০টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ব্রাত্য বসু পরিচালিত নতুন সিনেমা ‘ডিকশনারি’। বুদ্ধদেব গুহর দু’টি ছোট গল্প ‘বাবা হওয়া’ ও ‘স্বামী হওয়া’ অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে ‘ডিকশনারি’। গল্প দুটির মতোই ছবিতেও দুটি স্তরে কাহিনী উঠে এসেছে। আর এই ছবির মধ্য দিয়েই প্রথমবার কলকাতার কোনো সিনেমায় অভিনয় করলেন মোশাররফ করিম। ছবির প্রিমিয়ার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গত বুধবার সেখানে যান দেশের জনপ্রিয় এই অভিনেতা।
বৃহস্পতিবার ‘ডিকশনারি’র প্রিমিয়ার অনুষ্ঠানে ছবির অন্যান্য কলাকুশলী, নির্মাতার সাথে মোশাররফ করিম ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কলকাতার নামীদামী তারকা নির্মাতা ও অভিনেতারা। সৃজিত মুখার্জীকে নিয়ে সেখানে এসেছিলেন মিথিলাও।
শুধু প্রিমিয়ার অনুষ্ঠান নয়, মুক্তির প্রথম দিনেও কলকাতায় ছিলেন মোশাররফ করিম। ঘুরে বেড়িয়েছেন কলকাতা শহরের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে। ‘ডিকশনারি’র মকর ক্রান্তি চট্টোপাধ্যায়ের চরিত্রে অভিনয় করে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছেন মোশাররফ করিম। তাই সবখানেই দেখা পাচ্ছেন তার অসংখ্য ভক্ত অনুরাগীদের। এরমধ্যেই থেমে থেমেই পড়তে হয়েছে সেলফি শিকারিদের পাল্লায়। অন্তত ডিকশনারির প্রযোজনা সংস্থা ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশন এর ফেসবুক পেজের একটি লাইভ ভিডিওতে তেমন দৃশ্যই দেখা গেলো।
এদিকে ভারতীয় মিডিয়াতেও চলছে মোশাররফ করিমের ভূয়সী প্রশংসা। হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, বাংলাদেশি অভিনেতা মোশারফ করিম ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। আবার আনন্দবাজার পত্রিকায় বলা হয়, এ সিনেমায় নজর কেড়েছেন মকর ক্রান্তির ভূমিকায় মোশাররফ করিম। চরিত্রের সবটাই মোশাররফ ব্যক্ত করেছেন সমান দক্ষতায়।
‘ডিকশনারি’ ছবিতে সমান্তরালে চলে দুই পরিবারের কাহিনী। একদিকে থাকে ঢালাই ব্যবসাদার মকর ক্রান্তি চট্টোপাধ্যায় (মোশারফ করিম), তার স্ত্রী শ্রীমতি (পৌলমী বসু) ও পুত্র রাকেশ (সাগ্নিক চট্টোপাধ্যায়) সমেত রাজারহাটের ঝাঁ চকচকে অট্টালিকায় এক পুরোদস্তুর শহুরে জীবন। অন্যদিকে বন বিভাগের চাকরিসূত্রে পুরুলিয়ার বরাভূমের অশোক (আবির চট্টোপাধ্যায়) আর তার স্ত্রী স্মিতা (নুসরত জাহান) এবং মেয়ে চানুর প্রকৃতির কোলে নিভৃত জীবন। এই দুই পরিবারের মধ্যে এক অদ্ভুত সংযোগ হল সুমন (অর্ণ মুখোপাধ্যায়)- পারিবারিক সূত্রে শ্রীমতির ভাই, আবার পড়াশোনার সূত্রে অশোকের কলেজের জুনিয়র। বরাভূমের এক কলেজের ইংরেজি অধ্যাপক সুমনের সঙ্গে স্মিতার পরকীয়া সম্পর্ক নাড়িয়ে দেয় অশোক-স্মিতার পারিবারিক শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের ছক। ছবিতে যোগ করে বহুমাত্রিক সম্ভাবনা।
কলকাতার আবির-নুসরাত অভিনয় করেছেন স্বামী-স্ত্রীর ভূমিকায়। এ অংশটি ‘স্বামী হওয়া’ গল্পকে কেন্দ্র করে, অন্যদিকে ‘বাবা হওয়া’ গল্প অবলম্বনে পৌলমী-মোশারফের কাহিনি দেখানো হয়েছে।