বিকেলে পর্দা উঠছে বইমেলার
পড়ো বই গড়ো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ- প্রতিপাদ্যে অমর একুশে বইমেলার পর্দা উঠছে আজ বুধবার (১
বিশ্বে প্রথম বই মেলার কথা জানা যায় জার্মানে ১৪শত খ্রিষ্টাব্দ। পরে বইমেলা শুরু হয় ১৮২৫ খ্রিষ্টাব্দে। এই বছর ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রথম অনুষ্ঠিত হয় ‘লাইপজিগ গ্রন্থমেলা’ । ইতিহাসের নানা উত্থান-পতন ঘটনার ঘনঘটা পেরিয়ে ১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দে ‘ফ্রাঙ্কফুট গ্রন্থমেলার’ কাছে নিজের অস্তিত্ব রক্ষার দায়িত্ব দিয়ে বিদায় গ্রহণ করে লাইপজিগ গ্রন্থমেলা। ১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এভাবেই এসে পড়ে পরপর ওয়ারশ গ্রন্থমেলা আর বিভিন্ন দেশের গ্রন্থমেলাগুলো। ইতোমধ্যেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বড় বড় শহরে মহাসমারোহে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বইমেলা। বুলগেরিয়া, জাপান, ইসরাইল প্রভৃতি দেশে। দুই বঙ্গে ঢেউ এসে লাগল ১৯৭২ সালে ইউনেস্কোর আন্তর্জাতিক পুস্তক বর্ষরূপে ঘোষণার মধ্য দিয়ে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে আর ঢাকা হয়েছে এক স্বাধীন রাষ্ট্রের বা দেশের রাজধানী। বাংলা ভাষা সরকারিভাবে একটি স্বাধীন দেশের ভাষা। এই বাংলা ভাষাকেই ভরকেন্দ্র করে দেশটি স্বাধীনতা অর্জন করে সেখানকার মুক্তিকামী জনগণের এক ঐতিহাসিক সংগ্রামে। পশ্চিম বাংলার মাটিতে বইমেলার শুভাগমন ঘটে ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে। আয়োজক পাবলিশার্স এন্ড বুক সেলারস গিল্ড। কলকাতার ময়দান ছেড়ে বর্তমানে এই মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্ক-এ। আন্তর্জাতিক বইমেলার তকমাও জুটেছে তার। এ বছরের কলকাতা বইমেলার থিম কান্ট্রি বাংলাদেশ। আর ছোট্ট পরিসরে সেরে নেই ঢাকা বইমেলার কথাও।
স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম আন্তর্জাতিক বইমেলার আয়োজক ছিল দেশটির জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র এবং সেই মেলা অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ২০ ডিসেম্বর থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে সেই মেলা বসেছিল। বাংলাদেশের প্রকাশনা সংস্থা ছাড়াও ৮টি দেশের প্রকাশনা সংস্থা অংশ নিয়েছিল সেই মেলায়। মেলা উপলক্ষে আয়োজিত হয়েছিল আন্তর্জাতিক সেমিনার। তবে বর্তমান মেলার আসরটি আয়োজিত হয়ে আসছে ১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে। তখন থেকে ঢাকা বইমেলা নামে এই মেলা আয়োজিত হয় ১৪ বার। ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দ থেকে বর্ধিত পরিসরে ঢাকা আন্তর্জাতিক বইমেলা নামে এই মেলার আয়োজন চলছে।
১৯৮৪ সালে সাড়ম্বরে বর্তমানের অমর একুশে গ্রন্থমেলার সূচনা হয়। সেই ৩২টি বইয়ের ক্ষুদ্র একটি মেলা আজ কালানুক্রমে বাঙালির সবচেয়ে স্বনামধন্য বইমেলায় পরিণত হয়েছে। বাংলা একাডেমি চত্বরে স্থান সংকুলান না হওয়ায় ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে বইমেলা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্প্রসারণ করা হয়েছে। ২০০২ খ্রিষ্টাব্দে মেলায় ২৪০ জন এবং ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে সর্বোচ্চ ৪২৫ জন প্রকাশক অংশগ্রহণ করেছিল। এ বছরে এখনও প্রকৃত তথ্য আমার হাতের কাছে নেই। তাই সংখ্যাটি বলতে পারলাম না। তথ্যসূত্র: আন্তর্জাল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।