Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উত্তরাখণ্ডের বিপর্যয়ের ৬ দিন পরও খোঁজ মিলছে না দুই শতাধিক শ্রমিকের, ৩৬টি লাশ উদ্ধার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৪:২৪ পিএম | আপডেট : ৫:৫৫ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

ভারতের উত্তরাখণ্ডে হিমবাহ ধসের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৬শে দাঁড়িয়েছে। সেখানে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত একটি সুড়ঙ্গের ভেতর এখনো দুই শতাধিক শ্রমিক আটকা পড়ে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের জীবিত উদ্ধারে প্রাণপণ পরিশ্রম করে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।

গত রোববার উত্তরাখণ্ড রাজ্যের চামোলি জেলার জোশিমঠে হিমবাহ ধসে কাছের অলকনন্দা ও ধউলিগঙ্গা নদীতে প্রবল হড়পা বান দেখা দেয়, পানির তোড়ে পাঁচটি ঝুলন্ত সেতু ভেসে যায়, ঘরবাড়ি ও নিকটবর্তী এনটিপিসি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়; ঋষিগঙ্গার কাছে তপোবন বিষ্ণুগাদ হাইড্রোলিক পাওয়ার প্রজেক্টও ধ্বংস হয়ে যায়।
পানি পরিবহনের জন্য দুইটি সুড়ঙ্গপথের মাধ্যমে মূল ভূমির সঙ্গে তপোবন বিষ্ণুগাদ হাইড্রোলিক পাওয়ার প্রজেক্টের সংযোগ ছিল। ওই দুই সুড়ঙ্গের বড়টির (৮ দশমিক ৩ কিলোমিটার লম্বা) মধ্যে ৩৫ নির্মাণ শ্রমিক আটকা পড়ে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

৩ দশমিক ৮ কিলোমিটার লম্বা সরু সুড়ঙ্গটি ধউলিগঙ্গা নদীর সঙ্গে সংযুক্ত। হিমবাহ ধসের পর প্রবল পানির তোড়ে দুই সুড়ঙ্গের মুখই পাথর, কাদা ও সেখানে থাকা নির্মাণসামগ্রীর ধ্বংসাবশেষ দিয়ে আটকে যায়। সরু সুড়ঙ্গ থেকে দুর্ঘটনার প্রায় সাত ঘণ্টা পর ১২ শ্রমিককে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধারকাজের গতিপ্রকৃতি নিয়ে বৃহস্পতিবারই বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় কুমার ভাল্লা। ওই দিন ধৌলিগঙ্গায় জলস্তর আচমকা বাড়তে শুরু করায় উদ্ধারকারীদের সতর্ক করা হয়। তড়ঘড়ি উদ্ধারকাজ সাময়িকভাবে বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই এলাকার পরিস্থিতি কী, তা খতিয়ে দেখার জন্য ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও)-র বিশেষজ্ঞ দল গঠন করা হয়েছে।

উদ্ধারকারী দলের এক আধিকারিক সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন, সুড়ঙ্গের ভিতরে অক্সিজেন সরবরাহ করে আটকে থাকা শ্রমিকদের জীবন বাঁচানোর চেষ্টা চলছে। তবে সময় যত গড়াচ্ছে, আটকে থাকা শ্রমিকদের জীবন নিয়ে আশঙ্কা তত বাড়ছে।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি নন্দাদেবী পর্বত থেকে আচমকা তুষারধস নেমে আসায় ধৌলিগঙ্গা এবং ঋষিগঙ্গায় হড়পা বানের সৃষ্টি হয়। এই বিপর্যের জেরে জোশীমঠ, তপোবনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। তপোবনে নির্মীয়মাণ বিদ্যুৎপ্রকল্পের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ নিখোঁজ। সূত্র : আনন্দবাজার



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ