মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারত ফারাক্কার বাঁধে তৈরি করছে নতুন এক নেভিগেশনাল লক। এ কাজ শেষ হলে গঙ্গা নদীতে প্রচুর ইলিশ পাওয়া যাবে। এমনটাই দাবি করেছে লক তৈরিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান।
এই লক তৈরিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান লার্সেন অ্যান্ড টুব্রো লিমিটেডের অধীনস্থ এল অ্যান্ড টি জিওস্ট্রাকচার দাবি করছে, ফারাক্কার নতুন ‘নেভিগেশনাল লক’ তৈরির কাজ শেষ হলে গঙ্গা নদীতে প্রচুর ইলিশ পাওয়া যাবে। বিশেষ করে ফারাক্কা থেকে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ অবধি ইলিশের জোগান বাড়বে। অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে ইলিশ মাছ গঙ্গার উজান বেয়ে চলে আসবে ভারতের দিকে।
গতকাল বৃহস্পতিবার আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে ফারাক্কা বাঁধের স্লুইসগেটটির জলস্তর যেখানে রয়েছে, এবার তার চেয়ে বাড়িয়ে দেওয়া হবে জলস্তর। যার অর্থ স্লুইসগেট এত দিন যতটা খোলা থাকছিল, তার চেয়ে অনেকটা বেশি খোলা হবে এবং তা প্রতিদিন চার ঘণ্টার জন্য খোলা থাকবে। প্রতিদিন চার ঘণ্টার জন্য খোলা থাকবে। এর ফলে পদ্মা নদীর নোনা পানি থেকে গঙ্গার মিষ্টি পানিতে সাঁতার কেটে আরও বেশি ইলিশের চলে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। এই পরিস্থিতিতে গঙ্গায় ইলিশ মাছের ডিম পাড়ার সম্ভাবনাও বাড়বে।
প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আমদানি করেই এ মাছের চাহিদার একটি বড় অংশ মেটাতে হয় ভারতের পশ্চিমবঙ্গকে। তবে এবার বাংলাদেশ থেকে যেন প্রচুর ইলিশ ভারতে ঢোকে তার ব্যবস্থা করতে ফারাক্কা বাঁধে নতুন ‘নেভিগেশনাল লক’ তৈরির কাজ করছে দেশটি।
সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭৬ সালে ফারাক্কা বাঁধের প্রথম নেভিগেশনাল লক তৈরির পরে প্রয়াগরাজ পর্যন্ত ইলিশ মাছের যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। ফারাক্কায় নতুন লকটি চলতি বছর জুন থেকে খুলে দেওয়ার কথা।
নতুন নেভিগেশনাল লক তৈরির ক্ষেত্রে আধুনিক ইলেকট্রো হাইড্রোলিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে। এর সঙ্গে প্রতিটি লক গেটকে কন্ট্রোল রুম থেকে রিমোট কন্ট্রোল মারফত নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। নতুন নেভিগেশনাল লকের দৈর্ঘ্য ২৫০ মিটার, উচ্চতা ২৫ মিটারের বেশি। এটি তৈরি হলে ২৮০ কিলোমিটার দূরের কলকাতা বন্দরও লাভবান হবে।
কলকাতা থেকে ২৮০ কিলোমিটার দূরে ফারাক্কা বাঁধের নেভিগেশনাল এই লক তৈরি হলে কলকাতা বন্দরও প্রভূত লাভ করবে বলে মনে করছেন এল অ্যান্ড টি জিওস্ট্রাকচারের চিফ এক্সিকিউটিভ এস কানাপ্পান। তিনি বলেন, আমরা খুশি যে এই নেভিগেশনাল লক তৈরির দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের দিয়েছে। এর ফলে গঙ্গার পরিবেশ এবং অভ্যন্তরীণ প্রাণীদের জীবনেরও পার্থক্য তৈরি হবে। সঙ্গে জাহাজ যাত্রার পথও হবে সুগম ও দ্রুত। সূত্র : আনন্দবাজার
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।