মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মার্কিন পরোপকারী হিসেবে সুপরিচিত এবং কোভিড মহামারীতে যারা নিজেদের ধনসম্পদ দান করতে পিছপা হননি তাদের মধ্যে শীর্ষে অবস্থান করছেন ম্যাকেঞ্জি স্কট যিনি তার সাবেক স্বামী ও যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ধনী জেফ বেজোসের সঙ্গে ২০১৯ সালে ডিভোর্স হওয়ার পর বিশ্বের ধনবতী নারী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের ৫শ প্রতিষ্ঠানকে তিনি ৫.৮ বিলিয়ন ডলার সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন। তার মোট সম্পদের পরিমান ৫৫.২ বিলিয়ন ডলার। -ফোর্বস
ফোর্বসের অনুসন্ধানে দেখা গেছে শীর্ষ ৫ মার্কিন পরোপকারী সারাজীবন যা দান করেছেন ম্যাকেঞ্জি স্কট একাই তারচেয়ে বেশি দান করেছেন। মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস ও তার স্ত্রী মেলিন্ডা গেটস তাদের ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এসময় করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের গবেষণায় দান করেছেন ১.৭৫ বিলিয়ন ডলার। নিউইয়র্ক সিটির সাবেক মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ কোভিড সহায়তা হিসেবে দান করেছেন ৩৩০ মিলিয়ন ডলার। ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ দিয়েছেন ১শ মিলিয়ন ডলার। জাকারবার্গের সম্পদের পরিমান ৯০ বিলিয়ন ডলার এবং দান করেছেন এপর্যন্ত ২.৭ বিলিয়ন ডলার। জলবায়ু পরিবর্তন ও দারিদ্র বিমোচনে এসব মার্কিন পরোপকারীদের দানের হাত অনেক লম্বা। জাকারবার্গ ও বিনিয়োগকারী জর্জ সরোস গণতন্ত্রের উত্তরণে বিলিয়ন ডলার দান করেন অকাতরে। ফোর্বসের হিসেবে এমন ২৫ মার্কিন পরোপকারী তাদের জীবদ্দশায় ১৪৯ বিলিয়ন ডলার দান করার পরও তাদের মোট সম্পদের পরিমান হচ্ছে ৭৯৯ বিলিয়ন ডলার।
মার্কিন নাগরিকদের বাইরেও অন্যদেশের নাগরিক কিন্তু বাস করছেন যুক্তরাষ্ট্রে তাদেরও দানের হাত কম লম্বা নয়। যেমন ওয়ালটনস পরিবার যারা ওয়ামার্টের শেয়ার নিয়ন্ত্রণকারী হিসেবে সুপরিচিত কিংবা হ্যান্সজর্জ উইস যিনি সুইজ্যারল্যান্ডের নাগরিক কিন্তু বাস করছেন যুক্তরাষ্ট্রে তারাও এধরনের দানে অভ্যস্ত। ওয়ারেন বাফেট স্বাস্থ্য, দারিদ্র বিমোচেনে এপর্যন্ত দান করেছেন ৪২.৮৮ বিলিয়ন ডলার। তারপরও তার সম্পদ রয়েছে ৮৮.৮ বিলিয়ন ডলার। এই কিংবদন্তী মার্কিন বিনিয়োগকারী ইতিমধ্যে তার সম্পদের ৯৯ শতাংশই দান করবেন বলে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। বছরে উপহার হিসেবে বিল এন্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনকে ওয়ারেন বাফেট প্রচুর দান করে থাকেন। এই ফাউন্ডেশন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরেও দারিদ্র বিমোচন ও স্বাস্থ্য খাতে উন্নয়নে কাজ করছে। বাফেট পরিবারের চারটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা অকাতরে এই দান পেয়ে থাকে। বাফেট বলেন আমার তিন সন্তান ও স্ত্রীর বক্তব্য হচ্ছে ধনসম্পদ কখনো অপরাধ নয় বরং তা পরোপকারে কাজে লাগানো সম্ভব। ২০১০ সালে বাফেট পরামর্শ দিয়ে বলেছিলেন বিলিয়নারিদের অর্ধেক সম্পদ দান করে দেওয়া উচিত। তার কথায় সায় দিয়ে অনেক বিলিয়নারি এগিয়ে আসেন। অর্জিত সম্পদের ১ শতাংশের বেশি নিজের জন্যে ব্যয় করা সম্ভব নয়ও বলেছিলেন ওয়ারেন বাফেট।
বাফেটের কথায় সাড়া দিয়ে বিল ও মেলিন্ডা তাদের ১২০.৭ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ থেকে ইতিমধ্যে ২৯.৮ বিলিয়ন ডলার দান করেছেন। বছরে তাদের ফাউন্ডেশন অনুদান হিসেবে যে ৫ বিলিয়ন ডলার দান করছে তা গবেষণা, চিকিৎসা ও পরীক্ষায় ব্যয় হচ্ছে। আরেক পরোপকারী জর্জ সরোসের মোট সম্পদ ৮.৬ বিলিয়ন ডলার হলেও ইতিমধ্যে ১৬.৮ বিলিয়ন ডলার দান করে ফেলেছেন। তার ফাউন্ডেশন এই দানের টাকায় ১২০টি দেশে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী ও ভোটের অধিকার রক্ষায় কাজ করছে। গত বছর এই খাতে তার ফাউন্ডেশন বরাদ্দ দেয় ১৪০ মিলিয়ন ডলার। গত বছর মোট ১.২ বিলিয়ন ডলার দান করেছেন সরোস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।