নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দেশের ফুটবলে কিং ব্যাক খ্যাত, জাতীয় দল ও ঢাকা আবাহনীর সাবেক অধিনায়ক দেশসেরা ডিফেন্ডার মোনেম মুন্নার ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী শুক্রবার। ক্ষণজন্মা এই ফুটবলারকে স্মরণ করতে নানা কর্মসূচী হাতে নিয়েছে মোনেম মুন্না স্মৃতি সংসদ ও পরিবারের সদস্যরা। মোনেম মুন্না স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক জাতীয় ফুটবলার আজমল হোসেন বিদ্যুৎ বলেন, ‘শুক্রবার সকালে মুন্নার কবর জিয়ারতের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচী শুরু করবো আমরা। এরপর তার কবরস্থান থেকে স্মৃতি সংসদের কার্যালয় পর্যন্ত একটি শোক র্যালি হবে। বিকালে কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া নারায়ণগঞ্জে মুন্নার বাড়িতে পরিবারের পক্ষ থেকে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হবে।’
১৯৮১ সালে পাইওনিয়ার ফুটবল লিগ দিয়ে মুন্নার ক্যারিয়ার শুরু। পরের বছর দ্বিতীয় বিভাগে শান্তিনগর ক্লাবের হয়ে খেলেন। ১৯৮৩ মুন্নাকে দলের ভেড়ানোর দ্বিতীয় বিভাগ লিগ চ্যাম্পিয়ন হয় সালে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র। ১৯৮৪-৮৫ মৌসুমে ঢাকা প্রথম বিভাগ লিগে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের হয়ে খেলার পর ’৮৬ সালে এই লিগে ব্রাদার্স ইউনিয়নের হয়ে মাঠ মাতান কিং ব্যাক। এরপর ১৯৮৭ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত প্রথম বিভাগে ঢাকা আবাহনীর পক্ষে টানা খেলেন মুন্না। ১৯৯১ সালে ঢাকা লিগে ২০ লাখ টাকা পেয়ে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়ার রেকর্ড গড়েন মোনেম মুন্না। তিনি জাতীয় দলের অপরিহার্য ফুটবলার ছিলেন ১৯৮৬ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত। দেশসেরা ফুটবলার হিসেবে বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত ভারতের ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবের পক্ষে কলকাতার মাঠ মাতিয়েছেন মুন্না। ১৯৯৯ সালের রমজান মাসে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যান এই তারকা ফুটবলার। সেখানেই তার কিডনি সমস্যা ধরা পড়ে। ২০০৫ সালের ২৬ জানুয়ারি গুরুতর অসুস্থ হলে মুন্নাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রায় তিন সপ্তাহ মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে ওই বছরের ১২ ফেব্রæয়ারি সকাল ৬টায় না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।