Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তুরস্ক-পাকিস্তানের যৌথ সামরিক মহড়া শুরু

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১১:০৩ এএম

তুরস্ক ও পাকিস্তান যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে। গতকাল মঙ্গলবার পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খায়বার পাখতুনখোয়া প্রদেশে শুরু হয় মহড়াটি। চলবে তিন সপ্তাহ ধরে। মহড়ায় তুর্কি স্পেশাল ফোর্স ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এলিট স্পেশাল সার্ভিসেস গ্রুপ অংশ নিয়েছে।

পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আতাতুর্ক-ইলেভেন ২০২১’ শিরোনামে এ মহড়ার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আফগান সীমান্তবর্তী খাইবার-পাখতুনখোয়ার তারবেলায় অবস্থিত পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর স্পেশাল সার্ভিসের সদর দফতরে অনুষ্ঠিত হয়। তুর্কি স্পেশাল ফোর্স এবং পাকিস্তানি মিলিটারির এলিট স্পেশাল সার্ভিসেস গ্রুপের সৈন্যরা এ মহড়ায় অংশ নিচ্ছেন।

অনুশীলনের মধ্যে রয়েছে- কাউন্টার টেররিজম, ক্লোজ কোয়ার্টার ব্যাটল, কর্ডন ও অনুসন্ধান, র‌্যাপেলিং, ফায়ার ও মুভ কৌশল, হেলিকপ্টার র‌্যাপেলিং, কম্পাউন্ড ক্লিয়ারেন্স, জিম্মি ও উদ্ধার এবং ফ্রি ফল অপারেশন।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এ যৌথ অনুশীলন ভ্রাতৃপ্রতীম দুই দেশের মধ্যেকার সম্পর্ক আরও মজবুত করবে। সামরিক বাহিনীর আধুনিকায়ন ও সহযোগিতায় দুই দেশের মধ্যে যে ধারা প্রবর্তিত হয়েছে, তা সমন্বয়ে এ অনুশীলন সহায়ক হবে।’

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আঙ্কারা ও ইসলামাবাদের মধ্যে প্রতিরক্ষা ও সামরিক সহযোগিতা বেড়েছে।

২০১৮ সালে তুরস্কের সঙ্গে চারটি মিলজেম শ্রেণির করভেট নিয়ে পাকিস্তান নৌবাহিনীর চুক্তি হয়। এ চুক্তি অনুযায়ী পাকিস্তানের জন্য দুটি করভেট নির্মাণ হবে ইস্তাম্বুল নেভাল শিপইয়ার্ডে এবং অন্য দুটি হবে করাচি শিপইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসে।

পাকিস্তানকে যে করভেট দিচ্ছে তুরস্ক, তার দৈর্ঘ্য ৯৯ মিটার। ২৪ হাজার টন ওজনের এ যুদ্ধজাহাজের গতি ২৯ নজিক্যাল মাইল। ভারী গোলাবর্ষণে সক্ষম এই যুদ্ধজাহাজ যে কোনো প্রতিপক্ষের জন্য ত্রাস হিসেবে বিবেচিত হয়। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র হানার ক্ষমতা। ভূমি থেকে ভূমিতে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে প্রতিপক্ষকে সহজেই নাস্তানাবুদ করতে পারে এই রণতরী।

স্টেলথ করভেন গোত্রের মিলজেম প্রতিপক্ষের সাবমেরিনকে ফাঁকি দিয়ে গোপনে এবং অতর্কিতে হামলা চালাতে পারে। বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করে প্রতিপক্ষের ওপর আক্রমণ চালাতেও সক্ষম। নৌঘাঁটিতে স্থায়ীভাবে থাকার পাশাপাশি টহলদারিও চালাতে পারবে এই রণতরী। সূত্র: আনদুলু এজেন্সি



 

Show all comments
  • Khokon ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৯:৪৭ পিএম says : 0
    This is just what should be among the Muslim countries. There is no alternative besides unity within the Muslim countries to stop the aggression and conspiracies from the enemies.
    Total Reply(0) Reply
  • Khokon ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১০:৩০ পিএম says : 0
    This is what muslims should be doing. There's no alternative besides unity among muslims to keep the enemies from taking advantage over Muslim countries
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তুরস্ক

২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ