মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
নেদারল্যান্ডসের সরকার বিদেশ থেকে শিশুদের দত্তক নেওয়া পুরোপুরি স্থগিত করে দিয়েছে । বাংলাদেশসহ পাঁচটি দেশ থেকে বিদেশি শিশুদের দত্তক নেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়মকানুন লঙ্ঘন করা হচ্ছে এমন এক রিপোর্ট প্রকাশের পর এই পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটির সরকার। দত্তক নেওয়ার মাধ্যমে নেদারল্যান্ডসের নাগরিক হয়েছেন - এমন একজন ইন্দোনেশিয়ান বংশোদ্ভূত নারী বিদিয়া অস্তুতি বোয়ের্মা ডাচ সরকারের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।-বিবিসি বাংলা
সরকারের গঠিত একটি বিশেষ কমিটি দুই বছর ধরে তদন্তের পর ওই রিপোর্টটি দিয়েছে, যা সোমবার প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, ১৯৬৭ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত মোট ৩০ বছরে বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, ব্রাজিল, কলম্বিয়া ও শ্রীলঙ্কা থেকে যে শিশুদের দত্তক নেওয়া হয়েছিল, তার প্রক্রিয়ায় গুরুতর লঙ্ঘনের দৃষ্টান্ত পাওয়া গেছে। রিপোর্টে বলা হয়, এর মধ্যে অপহরণ, শিশু পাচার, দলিলপত্র জালিয়াতি ও চুরি এবং মিথ্যা কারণ দেখিয়ে দত্তক নেওবার মতো ঘটনাও রয়েছে। এক সংবাদ সম্মেলনে আইনি সুরক্ষা সংক্রান্ত ডাচ মন্ত্রী স্যান্ডার ডেকার বলেন, ডাচ সরকার বহু বছর ধরে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে বা কোনো পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে এবং আন্তঃরাষ্ট্রীয় দত্তক গ্রহণের প্রক্রিয়া লঙ্ঘনের ব্যাপারটি উপেক্ষা করেছে। ডাচ সরকার এজন্য দত্তক নেওয়া শিশুদের কাছে দুঃখ প্রকাশও করেছে। ডেকার বলেছেন, বহু বছর ধরে সন্দেহজনক অনিয়ম বা অনাচারের ঘটনায় সরকার ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে। তদন্ত কমিটি দেখতে পেয়েছে যে, দারিদ্র্যের কারণে অনেক নারীকে তাদের শিশুকে দত্তক দিতে বাধ্য করা হয় এবং জাল কাগজপত্রও অনেকক্ষেত্রে একাজে ব্যবহার করা হয়।
কমিটি বলছে, এসব অবৈধ দত্তকগ্রহণের কিছু ঘটনায় বিভিন্ন দেশে নেদারল্যান্ডসের দূতাবাস বা কনস্যুলেটে কর্মকর্তারা জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে। তারা এ সংক্রান্ত দলিলপত্র ‘যত্নের সাথে পরীক্ষা করে দেখেননি’ বলে উল্লেখ করা হয়। তবে এক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ঘুষ গ্রহণ বা দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ইন্দোনেশিয়া থেকে দত্তক নেওয়ার মাধ্যমে ডাচ নাগরিক হয়েছেন - এমন একজন হলেন বিদিয়া অস্তুতি বোয়ের্মা। তিনি সরকারের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। মিস বোয়ের্মা বলেন, তিনি একে স্বাগত জানাচ্ছেন, কারণ- পদ্ধতিটির ব্যাপক সংশোধন করা দরকার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।