মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মিয়ানমারে সু চি’র দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি বা এনএলডি’র সরকারের কাছ থেকে ক্ষমতা নেয়ার পর টেলিভিশনে দেয়া প্রথম ভাষণে মিয়ানমারের সেনাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং লাইং বলেছেন, তার সরকার মিয়ানমারের চলমান বিদেশনীতিতে কোন পরিবর্তন আনবে না। রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবার ব্যাপারে যে চুক্তি আছে তাতেও কোন প্রভাব পড়বে না। যদিও ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি তিনি তার ভাষণে উল্লেখ করেননি।
তিনি বলেছেন, ‘দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী যেভাবে গৃহহীন লোকজনকে বাংলাদেশ থেকে ফেরত নেবার কথা ছিল সেটা চলতে থাকবে’। এ ভাষণের পুরো কপি ছাপা হয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম দ্য গেøাবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার-এ।
ভাষণের বেশিরভাগ জুড়েই অবশ্য ক্ষমতা গ্রহণের পক্ষে যুক্তিগুলো তুলে ধরেছেন জেনারেল অং লাইং। রোহিঙ্গা পুনর্বাসন ইস্যুতে তিনি বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে অস্থায়ী শিবিরে যেসব বাস্তুচ্যুত মানুষ রয়েছে তাদের পুনর্বাসনের কার্যক্রমও অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশের সাথে চুক্তি আলোচনার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে। তবে তিনি বলেছেন, যদি তা দেশের স্বার্থের কোনো ক্ষতি না করে। বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের মধ্যে যারা গ্রহণযোগ্য, ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব অনুযায়ী তাদের ফেরার অনুমোদন দেয়া হবে। এমন সময় এ ভাষণ দেন মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের প্রধান এ ব্যক্তি, যখন দেশটিতে অভ্যুত্থানের বিপক্ষে জনবিক্ষোভ হচ্ছে। কিন্তু ভাষণের বেশিরভাগ অংশ জুড়েই জেনারেল অং লাইং ব্যাখ্যা দেন কেন কোন পরিস্থিতিতে তাকে এ অভ্যুত্থান করতে হয়েছে। তিনি বলেছেন, আটক নেতা অং সাং সু চি নভেম্বর মাসে যে নির্বাচনে ব্যাপক ভোটে বিজয়ী হয়েছে বলা হচ্ছে তা নিরপেক্ষ ছিল না। তিনি বলেছেন, নভেম্বরে নির্বাচনে অনিয়মের যেসব অভিযোগ উঠেছে তা খতিয়ে দেখতে ব্যর্থ হয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশন বলেছে, অনিয়মের কোন প্রমাণ তারা পাননি।
জেনারেল অং লাইং খুব দ্রæতই নতুন নির্বাচনের মাধ্যমে জয়ীদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন। নতুন একটি নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা বলেছেন তিনি। তিনি বলেছেন, ২০১১ সালে পর্যন্ত ৪৯ বছর ধরে মিয়ানমারে যে সেনাশাসন চলেছে, তার অধীনে সবকিছু তা থেকে ভিন্ন হবে। তিনি মিয়ানমারে ‘সত্যিকার সুশৃঙ্খল গণতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন।
১৫ বছরের মতো গণতান্ত্রিক সরকারের অধীনে ছিল মিয়ানমার। ফেব্রæয়ারির এক তারিখ হঠাৎ করেই দেশটির সামরিক বাহিনী আরও একবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে। গ্রেফতার হন অং সাং সু চি ও দেশটির প্রেসিডেন্ট। সেনাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং লাইং এই অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেন।
এ অভ্যুত্থানের দেশটিতে গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হয়েছে যা টানা চারদিন ধরে চলছে। বিক্ষোভ প্রতিহত করতে কারফিউ জারিসহ নানা ধরনের বিধিনিষেধ কার্যকর করা শুরু হয়েছে। জেনারেল অং লাইং তার ভাষণে সরাসরি বিক্ষোভকারিদের কোন হুমকি দেননি, তবে বলেছেন ‘কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়’। সূত্র : বিবিসি বাংলা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।