নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) অবশেষে জয়ে ফিরলো ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। প্রথম ম্যাচে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘকে বড় ব্যবধানে হারানোর পর টানা পাঁচ ম্যাচ জয়হীন ছিল সাদাকালোরা। অবশেষে নিজেদের সপ্তম ম্যাচে এসে
লিগে দ্বিতীয় জয়ের মুখ দেখলো ব্রিটিশ বংশদ্ভুত অস্ট্রেলিয়ান কোচ শন লেনের দল। মঙ্গলবার কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ স্টেডিয়ামে নিজেদের হোম ভেন্যুতে প্রথম জয়ে দেখা পেল সাদাকালোরা। এদিন মোহামেডান ১-০ গোলে হারায় বাংলাদেশ পুলিশ এফসি’কে। বিজয়ী দলের হয়ে একমাত্র জয়সূচক গোলটি করেন অধিনায়ক এবং জাপানী মিডফিল্ডার উরি নাগাতা। এই জয়ে মোহামেডান সাত ম্যাচের দু’টি জিতে এবং তিন ড্র ও দুই হারে ৯ পয়েন্ট পেয়ে তালিকার ষষ্ঠস্থানে উঠে আসলো। ছয় ম্যাচে দুই জয়, এক ড্র ও তিন হারে ৭ পয়েন্ট পাওয়া পুলিশের অবস্থান নয়ে।
মঙ্গলবার ম্যাচের শুরু থেকেই দু’দল আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ করে খেললেও প্রথমার্ধ কাটে গোলহীন। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ঠিকই গোল আদায় করে নেয় মোহামেডান। ম্যাচের ৪৭ মিনিটে হাবিবুর রহমান সোহাগের ফ্রি কিক থেকে নাগাতা দারুণ হেডে গোল করে সাদাকালো শিবিরকে আনন্দে ভাসান (১-০)। যদিও ম্যাচের বাকি সময় আর গোল আসেনি। ফলে শেষ পর্যন্ত একমাত্র গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে মোহামেডান।
কুমিল্লায় জিতে বেশ খুশি মোহামেডান কোচ শন লেন। তাই ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘এবারের লিগে এটি আমাদের দ্বিতীয় জয়। আমরা লিগ টেবিলে ষষ্ঠস্থানে আছি। জানতাম, আমরা যদি পরিশ্রম চালিয়ে যাই এবং সঠিক কাজটা করি, তাহলে জয় আসবে। জয় পাওয়ায় ছেলেদের নিয়ে আমি খুশি।’
একই দিন বিকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে লিগের ঘটনাবহুল ম্যাচে প্রথমে পিছিয়ে থেকেও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ২-২ গোলে ড্র করেছে ঢাকা আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে। আবাহনীর হয়ে হাইতির ফরোয়ার্ড বেলফোর্ট কেরভেন্স ও ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ফ্রান্সিসকে একটি করে গোল করেন। জামালের হয়ে দু’গোল শোধ দেন গাম্বিয়ান দুই ফরোয়ার্ড যথাক্রমে সুলাইমান সিল্লাহ এবং ওমর জোবে। এই ড্র’র ফলে ছয় ম্যাচে পাঁচ জয় ও এক ড্র’তে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দ্বিতীয়স্থান ধরে রাখলো শেখ জামাল। সাত ম্যাচে চার জয় ও তিন ড্র’তে ১৫ পয়েন্ট পেয়ে চতুর্থস্থানে নেমে গেল আবাহনী।
আবাহনী-জামাল দু’দলই অপরাজিত থেকে কাল একে অপরের মুখোমুখি হয়। জয় পেতে উভয় দলই আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দেয়। ফলে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে উপভোগ্য হয়ে ওঠে ম্যাচটি। ১৩ মিনিটে হাইতির ফরোয়ার্ড বেলফোর্টের গোলে এগিয়ে যায় আবাহনী (১-০)। ম্যাচের ১৯ মিনিটে গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড সুলাইমান সিল্লাহ শটে গোল করে শেখ জামালকে সমতায় ফেরান (১-১)। ম্যাচের ৩৭ মিনিটে বল দখলের লড়াইয়ে আবাহনীর রায়হান পড়ে গেলে জামালের সলোমন কিং ইচ্ছাকৃতভাবে তার গায়ে বল মারেন। এতে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন আবাহনী ফুটবলাররা। শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি। এক পর্যায়ে জুয়েল রানাকেও ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেন সলোমন। রেফারি জি,এম,সি নয়ন সলোমন ও জুয়েল দু’জনকেই লাল কার্ড দেখালে সিদ্ধান্ত মেনে জুয়েল চলে গেলেও রেফারিকে ঘিরে ধরেন জামালের খেলোয়াড়রা। এতে প্রায় ৫ মিনিট খেলা বন্ধ থাকে। কিছুক্ষণ তর্ক-বির্তকের পর সলোমন মাঠের বাইরে যান।
৪৬ মিনিটে এগিয়ে যায় আবাহনী। বক্সের বাঁ প্রান্ত দিয়ে ঢুকে পড়া ডিফেন্ডার রায়হানের উড়ন্ত ক্রসে অনেকটা অরক্ষিত থাকা ফ্রান্সিসকো ডাইভ দিয়ে দর্শনীয় হেডে গোল করেন (২-১)। ৭২ মিনিটে ম্যাচে ফের সমতা আনে শেখ জামাল। সিল্লাহ’র সহযোগিতায় ওমর জোবে দুর্দান্ত এক শটে গোল করেন (২-২)। শেষে ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়ে দল দু’টি।
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে রাতে অনুষ্ঠিত লিগের আরেক ম্যাচে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘকে। বিজয়ী দলের পক্ষে নাইজেরিয়ান মিডফিল্ডার উগোচুকওয়া অবি মনেকে হ্যাটট্রিক করলে বাকি এক গোল করেন স্থানীয় মিডফিল্ডার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। এই জয়ে সাত ম্যাচের পাঁচটি জিতে এবং একটি করে ড্র ও হারে ১৬ পয়েন্ট পেয়ে তালিকার তৃতীয়স্থানে উঠে এলো শেখ রাসেল। ছয় ম্যাচের সবগুলো হেরে তলানিতে আরামবাগ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।