Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রত্যাহার হলেই চুক্তিতে ফিরব : খামেনি

চুক্তি মানলেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার : বাইডেন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০১ এএম

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তির শর্তগুলো না মানা পর্যন্ত তিনি ইরানের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলবেন না। রোববার মার্কিন গণমাধ্যম সিবিএস নিউজকে দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে মি. বাইডেন এমন বক্তব্য রাখেন। অন্যদিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি আগে তাদের ওপর থেকে সমস্ত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়, তবেই তেহরান চুক্তিতে ফিরবে। রোববার ইরানের বিমানবাহিনী ও অ্যারোস্পেস ডিভিশনের কমান্ডার ও পাইলটদের এক সমাবেশে তিনি এ ঘোষণা দেন বলে ইরনা জানিয়েছে।

২০১৫ সালে পরমাণু কর্মস‚চি সীমিত করার শর্তে ইরানের ওপর থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। তবে ২০১৮ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওই চুক্তি বাতিল করে ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। ফলে ইরানও তার প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসে। খামেনি বলেন, ইরান তখনই পরমাণু সমঝোতায় দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো পূর্ণভাবে মানতে শুরু করবে যখন যুক্তরাষ্ট্র মুখে বা কাগজে নয়; বরং বাস্তবে সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেবে। এটিই ইরানের চূড়ান্ত ও অলঙ্ঘনীয় নীতি। এ বিষয়ে দেশের সব কর্মকর্তা একমত। কেউ এই নীতি লঙ্ঘন করবে না। পরমাণু সমঝোতা ও নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মার্কিন ও ইউরোপীয় নেতাদের প্রতি ইঙ্গিত করে খামেনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপ কোনো ধরনের শর্তারোপের অধিকার রাখে না। কারণ তারা পরমাণু সমঝোতায় প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেগুলো লঙ্ঘন করেছেন। এখন যে পক্ষ শর্তারোপ করতে পারে সেটি হলো ইরান। কারণ ইরান প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা রক্ষা করেছে। এদিকে তেল নিষেধাজ্ঞাসহ বড় ধরনের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাগুলো তুলে না নিয়ে তেহরানের ওপর আর্থিক চাপ কমিয়ে আনার উপায় নিয়ে ভাবছে বাইডেন প্রশাসন। নির্বাচনি প্রচারণায় ইরানের পরমাণু চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রকে ফিরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাইডেন। সাবেক ট্রাম্প প্রশাসন এ চুক্তি থেকে আমেরিকাকে সরিয়ে নেন। বাইডেন সমঝোতায় ফেরার কথা বললেও অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি ইরানের আঞ্চলিক কার্যক্রম ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মস‚চি নিয়ে তেহরানের ওপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখার তাগিদ দিয়েছিলেন। তবে ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউজে অভিষেকের পর তেহরানের ব্যাপারে দৃশ্যত হার্ডলাইনে যান তিনি। ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ইরানের একটি পারমাণবিক চুক্তি হয়েছিল। ওই চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, তেহরান তার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কমিয়ে আনার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পরিদর্শকদের পারমাণবিক প্রকল্প এলাকায় প্রবেশ করতে দেবে বলে একমত হয়েছিল। এর বিনিময়ে তেহরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো প্রত্যাহার করা হয়। সিবিএস নিউজ।



 

Show all comments
  • খাজা নিজাম উদ্দিন ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:২৩ পিএম says : 0
    সবাই বিচার মানে কিন্তু তাল গাছ তাদের!
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ