মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের উত্তরাখন্ডের চামোলি জেলায় তুষারধসে মৃত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ১৪-তে দাঁড়িয়েছে। বাঁধ ঘিরে গড়ে ওঠা পানিবিদ্যুৎকেন্দ্রে নিয়োজিত ১৭০ কর্মী নিখোঁজ রয়েছেন। তাঁদের উদ্ধারে কাজ চলছে বলে সোমবার জানিয়েছেন উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত। রোববার উত্তরাখন্ড রাজ্যের চামোলি জেলার জোশিমঠে এ ঘটনা ঘটে। ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, এনটিপিসি বিদ্যুৎকেন্দ্রে ১৪৮ জন কর্মী ছিলেন। রিশিগঙ্গা বিদ্যুকেন্দ্রে ছিলেন ২২ জন কর্মী। তারা সবাই নিখোঁজ। নির্মাণাধীন একটি সুড়ঙ্গে ১২ জন আটকা ছিলেন। আইটিবিপি দল তাঁদের উদ্ধার করেছে। আরেকটি সুড়ঙ্গে প্রায় ৩০ জন আটকা আছেন। ওই সুড়ঙ্গটি ২ দশমিক ৫ কিলোমিটার লম্বা। উদ্ধারকারী দল সারা রাত ধরে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে। পানির দাপটে তছনছ হয়ে যাওয়া রাস্তা এখন কর্দমাক্ত। নদীর গতিপথের প্রস্থ এখন আরও চওড়া। বিদ্যুৎ প্রকল্পের আড়াই কিলোমিটারের টানেল কাদাপাথরে অবরুদ্ধ। ভেঙে গেছে পাঁচটি ব্রিজ। কার্যত বিছিন্ন ১৩টি গ্রাম। ভারতের উত্তরাখন্ডের চামোলিতে তপোবনের কাছে হিমবাহ খন্ডিত হয়ে তীব্র পানি স্রোতে রোববার ভেসে গেছে কয়েকটি গ্রাম। বন্যার পানি যখন নেমে এসেছিল, তখন তপোবনের কাছে কয়েকটি বিদ্যুৎপ্রকল্পের দুটি সুড়ঙ্গে কাজ করছিল কয়েকশ কর্মী। এর মধ্যে একটি সুড়ঙ্গ থেকে ১৬ জনকে উদ্ধার করা গেলেও বাকি সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিংহ রাওয়াত। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা ও জি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, এখন পর্যন্ত ১৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ প্রায় ১৭০ জন। টানেলে আরও লাশ থাকতে পারে বলে মনে করছে উদ্ধারকারী দল। তারা চোঙ ব্যবহার করে চিৎকার করে জানার চেষ্টা করছেন ভেতরে কারর আর্তনাদ শোনা যাচ্ছে কি না। কেউ বেঁচে আছে কি না, সেই আশঙ্কায় চলছে খোঁজ। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, উদ্ধারকারীরা অনেক চেষ্টা করেছেন। কিন্তু আটকে থাকে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। বহু চিৎকার করা সত্তে¡ও কারও সাড়া মেলেনি। হতে পারে তারা একদম ভেতরে আটকে আছেন। তাই কারও কথা শুনতে পাচ্ছেন না।এই বক্তব্যের পর ওই শ্রমিকদের জীবিত থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ বলেই মনে করছেন অনেকে। হৃষিকেশের ১৩.২ মেগাওয়াটের ওই বিদ্যুৎপ্রকল্পে ২০২০ সাল থেকে উৎপাদন শুরু হয়েছিল। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে সেই প্রকল্প ধ্বংস হয়ে গেছে। তপোবন এলাকার পাঁচ কিলোমিটার নিচের দিকেই তৈরি হচ্ছিল এনটিপিসির ওই জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। সেখানে দুটি সুড়ঙ্গে প্রচুর শ্রমিক কাজ করছিলেন। তার মধ্যে একটি সুড়ঙ্গে আটকে থাকা সবাইকে উদ্ধার করা হয়েছে। উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিংহ রাওয়াত ইন্ডিয়া টুডেকে জানিয়েছেন, অপর সুড়ঙ্গে উদ্ধারকাজ এখনও সেভাবে শুরুই করা যায়নি। আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ ওই সুড়ঙ্গ কাদায় ভর্তি হয়ে গেছে। যে কারণে আইটিবিপির জওয়ানরা সুড়ঙ্গের বেশি ভেতরে ঢুকতেই পারেননি। সোমবার সকাল থেকে ওই সুড়ঙ্গে আইটিবিপি, সেনা ও রাজ্য সরকারের উদ্ধারকারী দল আবার কাজ শুরু করবেন। এবিপি, জিনিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।