মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আবারও টুইটারকে নোটিশ দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এবার সংস্থাটিকে পাকিস্তানি ও খালিস্তানি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে মোদি সরকারের পক্ষ থেকে। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর পরামর্শেই তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় টুইটারকে ১ হাজার ১৭৮টি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার নির্দেশ পাঠিয়েছে।
এর আগে কৃষক আন্দোলন ইস্যুতে ২৫৭টি অ্যাকাউন্ট ব্যান করার ঘটনা নিয়ে বিপাকে পড়েছিল টুইটার। কেন্দ্রের নির্দেশ অনুযায়ী প্রথমে অ্যাকাউন্টগুলি বন্ধ করলেও পরে বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানিয়ে, পুনরায় চালু করে দেয় টুইটার। ফলে সরকারি রোষের মুখে পড়তে হয়েছিল সংস্থাকে। টুইটারকে কড়া বার্তা পাঠিয়েছিল কেন্দ্র। তবে এবার কেন্দ্রীয় নির্দেশ মেনে আইটি আইনের ৬৯-এ ধারা অনুযায়ী টুইটার পদক্ষেপ গ্রহণ করে কিনা, সেটাই এখন দেখার।
মোদি সরকারের অভিযোগ অ্যাকাউন্টগুলি থেকে কৃষক আন্দোলনের নাম করে ভুয়ো তথ্য ছাড়ানো হচ্ছে, যা দেশের সম্প্রীতি নষ্ট করতে পারে।
জানা গিয়েছে, কেন্দ্রের অভিযোগ, এই ১ হাজার ১৭৮টি অ্যাকাউন্ট থেকে কৃষক আন্দোলনের নাম করে ভুয়া তথ্য রটানো হচ্ছে। এর জেরে দেশের একাধিক অংশে হিংসার পরিবেশ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। সূত্রের খবর, এই নির্দেশ না মানা হলে টুইটারের ভারতীয় আধিকারিকদের সাত বছর পর্যন্ত হাজতবাস এবং মোটা টাকা জরিমানা হতে পারে।
ফেব্রুয়ারির শুরুতে জারি করা প্রথম নোটিশে কেন্দ্রের তরফে উল্লেখ করা হয়েছিল, টুইটার একটি মধ্যস্থতাকারী এবং সরকারি নির্দেশ মানতে তারা বাধ্য। নির্দেশে না মানলে এর জরিমানা দিতে হবে সংস্থাকে। কিন্তু, খবরের গুরুত্ব রয়েছে এবং বাক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার অজুহাত দেখিয়ে টুইটার ব্যান করা কৃষক সংগঠনগুলির অ্যাকাউন্ট পুনরায় চালু করে দেয়। কৃষকদের সমর্থনে ট্রেন্ডিং হওয়া 'অবমাননাকর' টুইটগুলি না সরানোয় টুইটারের প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডোরসের নিরপেক্ষতা নিয়ও প্রশ্ন উঠেছিল। এই নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে ভারত।
সম্প্রতি, কৃষক সংগঠনের করা বেশ কিছু টুইট নিজেই লাইক করেন টুইটারের প্রতিষ্ঠাতা। এমনকী, সেই তালিকায় ছিল সংগীতশিল্পী রিহানার করা টুইটটিও। মার্কিন সাংবাদিক কারেন আটিয়া রিহানাকে উদ্দেশ্য করে একটি টুইটে লেখেন, ভারত সরকারকে নাড়িয়ে দিয়েছেন রিহানা। এই টুইটেও লাইক করতে দেখা যায় জ্যাক ডোরসেকে। এর ফলে টুইটারের উপরে প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হয়ে আছে মোদি সরকার। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।