Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফেসবুক-ইন্টারনেট বন্ধের পরও বিক্ষোভে উত্তাল মিয়ানমার, লাখো মানুষ রাস্তায়

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৭:২৭ পিএম

মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে লাখো মানুষ। দেশব্যাপী ইন্টারনেট সেবা বন্ধের পরও সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিনের মতো রবিবারও দেশটির প্রধান ইয়াঙ্গুনে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও অং সান সু চিসহ অন্যান্যদের মুক্তির দাবিতে ইয়াঙ্গুনের সড়কগুলোতে জমায়েত হন তারা।

আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ছে এক শহর থেকে আরেক শহরে। মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি ও ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা নির্বাচিত সরকারের আটককৃত বিভিন্ন প্রতিনিধিকে মুক্তি দেয়ার পাশাপাশি সামরিক শাসনের অবসান ঘটানোর দাবি জানিয়েছেন।
বার্তা-সংস্থা রয়টার্স জানায়, ‘সামরিক একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে’ ব্যানারে ওই বিক্ষোভ মিছিলে ‘সামরিক একনায়ক ব্যর্থ হোক, গণতন্ত্রের জয় হোক’ স্লোগান দেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অনেকেই ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) লাল রঙের পোশাক পরেছেন ও কেউ কেউ লাল পতাকাও হাতে নিয়েছেন।
গত সোমবার মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী দেশে অভ্যুত্থান ঘটায়। সু চি ও তার ক্ষমতাসীন দলের অন্যান্য শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার গৃহবন্দি করে রেখেছে সামরিক জান্তা। বুধবার থেকে বিচ্ছিন্ন কিছু প্রতিবাদ শুরু হলেও শনিবার দেশজুড়ে লাখো মানুষ বিক্ষোভ মানুষ। ওই দিন বিক্ষোভ ঠেকাতে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দিয়েছিল জান্তা।
বিবিসি জানিয়েছে, রোববার বিক্ষোভকারীদের অনেকের হাতে ছিল গৃহবন্দি নেত্রি অং সান সু চির ছবি। তাদের পরনে ছিল সু চির দল এনএলডির প্রতীক লাল রঙের ফিতা। বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দিয়েছে, ‘আমরা সামরিক স্বৈরতন্ত্র চাই না।’ গাড়ির চালকরা তাদের গতি কমিয়ে বিক্ষোভকারীদের সমর্থন জানাতে হর্ন বাজিয়েছেন ও যাত্রীরা সু চির ছবি উঁচু করে ধরে আছেন। বিক্ষোভকারীদের কেউ কেউ ‘তিন আঙ্গুল’ স্যালুট দিয়ে মিছিল করেছেন। এই ‘তিন আঙ্গুল’ স্যালুট অভ্যুত্থানবিরোধী প্রতীক হয়ে উঠেছে।
বিক্ষোভকারীরা নগরীর কেন্দ্রস্থল সুলে প্যাগোডার দিকে মিছিল করেছে। একই সময় ইয়াঙ্গুন ইউনিভার্সিটির কাছে পুলিশের বিপুল সংখ্যক গাড়ি ও দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন ছিল।
ইয়াঙ্গুন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক আটকে রেখেছে পুলিশ। সামনেই রয়েছে ২টি জলকামান। এদিকে দেশটির ৩৭ বছর বয়সী মিও উইন ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘আমরা অবশ্যই আন্দোলন অব্যাহত রাখব এবং গণতন্ত্রের দাবি অব্যাহত রয়েছে। আমরা সেনা-স্বৈরাচারের শাসন মানি না’।
এর আগে শুক্রবার ইয়াঙ্গুনের ড্যাগন বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন কয়েক শ’ শিক্ষক ও শিক্ষার্থী। সেসময় তারা প্রতীকীভাবে তিন আঙুলের স্যালুট প্রদর্শন করেন। ওই অঞ্চলের বিক্ষোভকারীরা কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে নিজেদের বিরোধিতা প্রকাশ করতে এ প্রতীক ব্যবহার করে থাকেন। মিন সিথু নামের এক শিক্ষার্থী ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘এ ধরনের সেনা কর্তৃত্বের অধীনে আমরা আমাদের প্রজন্মকে ভুগতে দেব না।’ সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স, এএফপি



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মিয়ানমার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ