মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ফেসবুকের, টুইটার ও ইনস্টাগ্রাম বন্ধ করার পর এবার ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে মিয়ানমারের সামরিকজান্তা। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে। গত সোমবার দেশটির সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর গতকাল শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো।
বৃহস্পতিবার ফেসবুক বন্ধের পর শনিবার রাত থেকে টুইটার ইন্সটাগ্রামও বন্ধ করে দেয় সামরিক শাসক। এ বিষয়ে সামরিক বাহিনীর কাছ থেকে এখনো কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, নেটব্লকস ইন্টারনেট অবজারভেটরি জানিয়েছে, প্রায় সম্পূর্ণভাবে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। সংযোগ সাধারণ অবস্থার চেয়ে ১৬ শতাংশ নিচে নেমে এসেছে। বিবিসি বার্মিজ শাখাও ইন্টারনেট বন্ধের খবর নিশ্চিত করেছে।
সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মানুষের বিক্ষোভের কারণে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে মিয়ানমার সেনা বাহিনী।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, নাগরিক অধিকার নিয়ে কাজ করা সমাজ সংস্থাগুলো ব্ল্যাকআউটের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে ইন্টারনেট সরবরাহকারী এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের বিরোধিতা করে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছেন হাজার হাজার মিয়ানমার নাগরিক। তারা প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনে "সামরিক স্বৈরাশাসকে ব্যর্থ, ব্যর্থ; গণতন্ত্রের জয় হোক, জয় হোক- বলে স্লোগান দিচ্ছেন। বিক্ষোভকারীরা এসময় নির্বাচিত নেতা অং সান সু চিসহ সেনাবাহিনী কর্তৃক আটককৃত অন্যদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানায়। বিক্ষোভ দমাতে দেশটির প্রধান শহরগুলো অবরুদ্ধ করে পুলিশ কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট, অং সান সু চিসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করে ক্ষমতা গ্রহণ করে সেনাবাহিনী। ক্ষমতা গ্রহণের পর পরই জারি হয়েছে রাত্রিকালীন কারফিউ। ফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ গত মঙ্গলবার সকাল থেকে চালু হলেও সব ধরনের সামাজিক মাধ্যম ব্লক রয়েছে। ফলে এসব মাধ্যম ব্যবহার করতে পারছে না সাধারণ মানুষ।
সু চির বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। এসব অভিযোগে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রিমান্ডে থাকবেন সু চি। সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) একজন মুখপাত্র জানান, সু চির বিরুদ্ধে আমদানি-রফতানি আইনে অভিযোগ করা হয়েছে। সু চির বিরুদ্ধে বেআইনি যোগাযোগযন্ত্র রাখার অভিযোগও করেছে পুলিশ। সূত্র : বিবিসি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।