বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পায়রা সমুদ্র বন্দরের সাথে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র সহ মূল ভূখন্ডের সড়ক যোগাযোগ নির্বিঘ্ন করতে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা ব্যায়ে আন্ধারমানিক নদীর ওপর ১ হাজার ১৮০ মিটার দীর্ঘ চার লেনের একটি সেতু নির্মাণ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। বিভিন্ন জটিলতা কাটিয়ে সেতুটি নির্মাণে দরপত্র আহবান করা হয়েছে ইতোমধ্যে। সম্পূর্ণ দেশীয় তহবিলে প্রায় সাড়ে ৭শ কোটি টাকা ব্যায়ে মূল সেতু এবং আরো ৬৭৫ কোটি টাকা ব্যায়ে ৬.৩৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মিত হবে। পায়রা বন্দরের ব্যবহার্য এ সেতু ও সংযোগ সড়কটি বন্দরের উন্নয়ন বাজেট বরাদ্দ থেকে ‘ডিপোজিট ওয়ার্ক’ হিসেবে নির্মাণ কাজটি করে দেবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর।
তবে সেতুটি নির্মাণে আরো মাস তিনেক আগে দরপত্র আহবান করা হলেও কিছু নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের নানামুখি আপত্তির কারনে দরপত্র গ্রহনের তারিখ কয়েক দফা পিছিয়ে পরবর্তিতে পুরো টেন্ডার প্রক্রিয়া বাতিল করে নতুন করে দরপত্র আহবান করা হয়েছে। পায়রা বন্দরের পক্ষে সড়ক অধিদপ্তর সেতুটি নির্মান করবে বিধায় অধিদপ্তরের বরিশালে জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীকে সেতু ও সংযোগ সড়ক নির্মানের প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ করা হয়েছে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী ১ হাজার ১৮০ মিটার দৈর্ঘ ও ২৭ মিটার প্রস্থ ৪ লেনের অন্ধারমানিক সেতুটির নদীর অংশে ২৭টি স্প্যানে বক্স গার্ডার পদ্ধতিতে নির্র্মিত হবে। নদীর দু পাড়ে দুটি এবাটমেন্ট ছাড়াও কিনারা অংশটি পিসি কংক্রীট গার্ডার পদ্ধতিতে নির্মিত হবে বলে জানা গেছে। নদীর মধ্যবর্তি সেতুর মূল স্প্যনটি ১শ মিটার বা ৩২৭ ফুট প্রস্থ ও সর্বোচ্চ জোয়র থেকে ৬০ ফুট উচ্চতায় ভার্টিক্যাল ক্লিয়ারেন্স বা উর্ধমূখি খোলা রাখা হবে। ফলে বড় ধরনের উপক’লীয় জ্বালানী ও পণ্যবাহী নৌযান ছাড়াও নৌ বাহিনী ও কোষ্ট গার্ডের বড় ধরনের সমর নৌযানসমুহ নির্বিঘেœ চলাচল করতে পারবে।
নির্মান প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিপত্র স্বাক্ষরের পরে ৩০ মাসে সেতুটি নির্মাত হবার কথা রয়েছে। সে নিরিখে দরপত্র গ্রহন, কারিগরি ও আর্থিক প্রস্তাবসমূহ মূল্যায়ন সহ সড়ক ও সেতু মন্ত্রনালয় এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়ের অনুমোদনের পরে ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রী সভা কমিটির চুড়ান্ত অনুমোদনের মিলতে আগামী সেপ্টেম্বর লেগে যেতে পারে। অক্টোবরে নির্মান প্রক্রিয়া শুরু হলে ২০২৪-এর জুন-জুলাই নাগাদ আন্ধারমানিক সেতুটি নির্মিত হবার সম্ভবনা রয়েছে বলে মনে করছেন কারিগরি বিশেষজ্ঞমহল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।