মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর গণহত্যা পরিচালনাকারী অং সান সু চির মদদপুষ্ট সেনারাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে নিয়েছে। আর সেখানে চলছে সেনাশাসন। সেনাশাসনের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমে এসেছে সেদেশের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তাদের অংশগ্রহণের কারণে বেড়েছে নাগরিক আন্দোলনের গতি। রাজধানী নেপিদো প্রকম্পিত হয়ে উঠছে ‘এই সামরিক শাসন চাই না’, ‘সু চি মা জিন্দাবাদ’ এবং আরও বিভিন্ন স্লোগানে। -বিবিসি, এএফপি
গত সোমবার সেনা অভ্যুত্থানের দিন থেকে সু চি এবং সে দেশের শীর্ষ নেতারা আটক আছেন। সেনাবাহিনী নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখলের পরপরই প্রথম প্রতিবাদ এসেছিলো চিকিৎসাকর্মীদের কাছ থেকে। এরপর থেকে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ক্রমেই বেড়েছে। একে একে আন্দোলনে যোগ দিয়েছে শিক্ষার্থীরাসহ বিভিন্ন যুবদল, সরকারি ও বেসরকারি খাতের বহু কর্মী। সূচির এনএলডি পার্টির রঙ লাল। শুক্রবার বিকেলে লাল রিবন পরে কয়েকশ শিক্ষক ও শিক্ষার্থী ডাগন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে জড়ো হন। সেখানে তারা তিন আঙুলের সালাম প্রদর্শন করেন – এই চিহ্নটি এই অঞ্চলে কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরোধিতা প্রদর্শনের জন্য ব্যবহার হয়। একজন প্রতিবাদকারী বলেন, “নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে বেআইনিভাবে ক্ষমতা দখল করে নেওয়া এই সামরিক অভ্যুত্থান আমরা চাই না। আমরা আর তাদের সঙ্গে কাজ করব না। আমরা চাই এই সামরিক অভ্যুত্থান ব্যর্থ হোক। মিয়ানমারের জায়গাতেই বিক্ষোভ হয়েছে। ইয়াঙ্গনসহ কয়েকটি নগরীর অধিবাসীরা তাদের বাড়িতে থেকে রাতেও বিক্ষোভ করেছে। মঙ্গলবার রাতে ইয়াঙ্গনে প্রথম বড় ধরনের প্রতিবাদ হয়।বিক্ষোভকারীরা ‘অমঙ্গল দূর হবে’ শ্লোগান দিয়ে রীতি অনুযায়ী হাঁড়ি-পাতিল বাজিয়ে বিক্ষোভ করেন।
শিক্ষক, স্বাস্থ্যসেবা কর্মী এবং সরকারি চাকরিজীবীদের অনেকে হয় ছোটখাট বিক্ষোভ আয়োজন করছেন, নয়ত ধর্মঘটে নামছেন। আবার অনেকে প্রতিবাদের প্রতীকী লাল রিবন পরে কাজ করে যাচ্ছেন। শুক্রবার কয়েক ডজন অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভকারী দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় দাওয়েই শহরে পদযাত্রা করেছে। মোটরবাইকে করে তাদের সঙ্গে সামিল হয়েছে আরও বহু মানুষ। এক বিক্ষোভকারী বলেন,আমরা আজ এখানে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই শুরুর ঘোষণা দিচ্ছি। আমরা জনগণকে আমাদের সঙ্গে যোগ দেওয়া এবং আমাদের পাশে থাকার ডাক দিচ্ছি।
এদিকে আন্দোলন দমনে তৎপর হয়েছে সেনাবাহিনী। ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসিতে (এনএলডি) সু চির ডান হাত হিসাবে পরিচিত নেতা উইন টাইনকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করেছে তারা। অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নামা অন্যান্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। মিয়ানমারের মান্দালয় নগরীতে গত তিন রাত হাড়ি-পাতিল বাজিয়ে বিক্ষোভ করার কারণে অন্তত ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের মান্ডলে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে একটি বিক্ষোভ হয়। সেখান থেকে চারজনকে গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।