Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সু চির ডান হাত উইন হেটেন গ্রেফতার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০১ এএম

মিয়ানমারের বিতর্কিত নেত্রী অং সান সু চির ডান হাত হিসেবে পরিচিত ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) এক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ইয়াঙ্গুনে মেয়ের বাসা থেকে তিনি গ্রেফতার হন। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছে।
সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে জানিয়েছে, দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা উইন হেটেন গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে নেপিডো থেকে ইয়াঙ্গুনে গেছেন। সেখানে মেয়ের বাড়ি থেকে বৃহম্পতিবার মাঝরাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এনএলডির প্রেস কর্মকর্তা কি টোয়ে বলেন, তাকে নেপিডোতে পুলিশ স্টেশনে আটক করে রাখা হয়েছে।

৭৯ বছরের উইন হেটেন দীর্ঘসময় রাজবন্দী ছিলেন। জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় তাকে বিভিন্ন সময়ে আটক করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক ও মিয়ানমারের গণমাধ্যমে সু চি কী ভাবছেন তা তার মাধ্যমে জানার চেষ্টা করা হয়। সু চিকে গ্রেফতারের আগে উইন হেটেন স্থানীয় ইংরেজি গণমাধ্যমকে বলেন, সেনাবাহিনী অবিবেচকের মতো কাজ করছে। সেনাবাহিনী দেশকে ভুল পথে নিয়ে যাচ্ছে। সেনা অভ্যুত্থানের পর তিনি বলেন, সেনাবাহিনী আমাদের সরকারকে ধ্বংস করে পেছনের দিকে নিয়ে যেতে চাইছে। দেশের প্রত্যেককে যতটা সম্ভব প্রতিবাদ জানাতে হবে।

গ্রেফতার হওয়া উইন হেটেনকে সু চির ডান হাত হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। উল্লেখ্য, গত সোমবার মিয়ানমারে সামরিক অভুত্থ্যানের পর এখন পর্যন্ত ১৩০ জনের বেশি রাজনৈতিক ও আইনপ্রণেতাকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ফেসবুক পরিষেবা বাধাগ্রস্ত করতে টেলিকম অপারেটরদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সূত্র : এএফপি।

 



 

Show all comments
  • Delour Hossain ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১:০৩ এএম says : 0
    এখানে চীনের স্বার্থ রক্ষায় সেনাবাহিনী এই কাজ করেছে। সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা চীনের কাছে ধরা।
    Total Reply(0) Reply
  • Atm Abdur Rahim ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১:০৩ এএম says : 0
    পৃথিবী বিচ্ছিন্ন বর্বর একটা দেশ- চীনের সমর্থনে আরো বর্বতার দিকে হাঁটছে!!
    Total Reply(0) Reply
  • Abdul Haque ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১:০৪ এএম says : 0
    মিয়ানমারে কখনোই গণতন্ত্র ছিল না, এটা নতুন কিছু নয়
    Total Reply(0) Reply
  • Siful Islam ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১:০৪ এএম says : 0
    আমেরিকা চিন রাশিয়া বৃটেন জার্মানি সহ সব পরাশক্তি জোট হয়ে মায়ানমারের সেনবাহিনীর বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি রোহিঙ্গা দের স্থায়ি পুর্নবাসনের জন্য কাজ করতে হবে
    Total Reply(0) Reply
  • Lahu Wanjare ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১:০৫ এএম says : 0
    অং সাং সুচি পিলখানা ফর্মুলা কাজে লাগিয়ে দেখতে পারে ভালো কাজে দেবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Ami Amin ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১:০৬ এএম says : 0
    সূচি নিজেই অন্যায় কারি আর এক অন্যায় কারি কি বাবে পতি বাদ করবে
    Total Reply(0) Reply
  • Rahaman Sikdar Rahaman ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১:০৬ এএম says : 0
    মিয়ানমার উত্তর কোরিয়ার নীতি একই রকম
    Total Reply(0) Reply
  • শরীফ দেওয়ান ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১:০৬ এএম says : 1
    মিয়ানমার,পাকিস্তান ও উত্তর কোরিয়া সব সময় আর্মির নিয়ন্ত্রণেই থাকবে ৷
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ দুলাল মিয়া ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৩:২৬ এএম says : 0
    খবরে দেখলাম মায়েনমারে দীর্ঘ যাবত্ কাল সেনা শাসন ব্যবস্থা ছিল।আমি মনে করি সেনা শাসন ব্যবস্থা যদি চল্লিশ বছর থাকিয়া থাকে এই চল্লিশ বসর মুসলমানদের কেন সমস্যা হলে না কিন্তু গণতন্ত্রে সেই নাগিনি আসার পর মুসলমানদের নির্বিচারে গণহত্যা করলে। তাহা হলে আমি মনে করি সেনা শাসনই ভালো। কিন্তু এই টা কেউ বিবেচনায় না এনে বিভিন্ন দেশ কি জানি আবার কি জাতিসংঘ বলে সবাই সেনা শাসন ব্যবস্থার বিরোধিতা করতেছে আমি মনে করি সেনা শাসন ব্যবস্থার মধ্যেই রেহিংগাদের ফেরত্ পাঠানে সহজ হবে। তাই বাংলাদেশ সরকার পয়দা লুটানের জন্য যেন সেনা শাসনকে অবহেলা করে কেন কথাবার্তা না বলে। তাদের সাথে মিলেমিশে যুক্তি মতেই রেহিংগাদের ফেরত্ পাঠানে যাবে।সেনা শাসন ব্যবস্থা কে কিছু বলা ঠিক হবে না তার কারন সেনা শাসন আমলে মুসলমানেরা ভালো ছিল শান্তিতে ছিল এখন থাকতে পারবে আর যদি বাংলাদেশ রেহিংগাদের নিয়ে টানাটানি করে বিদেশ থেকে রেহিংগাদের উচিলা করে সাহায্য খেতে চায় তবে সেনা শাসন সমর্থন করবেনা।তাই পলিসির দরকার নাই সেনাদের সাথে বসে বিষয়টি নিয়ে বসলেই কাজে আসবে।...
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মিয়ানমার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ