Inqilab Logo

বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মিয়ানমারের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে ভারত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৮:০৭ পিএম

সামরিক অভ্যুত্থানের পরে মিয়ানমারের পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে ভারত। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রলায় এই তথ্য জানিয়েছে। তারা জানিয়েছে, জাতিসংঘের সুরক্ষা কাউন্সিলের সদস্য হিসাবেও তারা বিষয়টি তুলে ধরেছে।

গত বছরের নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ সু চির সরকার তদন্ত করেনি দাবি করে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী সোমবার জানিয়েছিল যে, তারা জরুরি অবস্থার অধীনে এক বছরের জন্য ক্ষমতা গ্রহণ করছে। ওই নির্বাচনে সু চির ভূমিধস জয় পায়। সাপ্তাহিক সংবাদ ব্রিফিংয়ের সময় মিয়ানমারের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘ভারত তার প্রতিবেশী মিয়ানমারের সাথে বাণিজ্য, অর্থনৈতিক, সুরক্ষা ও প্রতিরক্ষা-সংক্রান্ত মতবিনিময়, ঘনিষ্ঠ সাংস্কৃতিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে।’ তিনি বলেন, ‘এ কারণে আমরা সেদেশের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা জাতিসংঘের সুরক্ষা কাউন্সিলের সদস্য হিসাবেও এই ইস্যুতে নিযুক্ত রয়েছি।’

মুখপাত্র জানান, ‘ভারত কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ওষুধ, টেস্ট কিট এবং ভ্যাকসিন সরবরাহ করে মিয়ানমারকে সহায়তা দিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মহামারীটির দ্বারা স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক ক্ষতি প্রশমিত করতে মিয়ানমারের জনগণের জন্য আমাদের মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছি।’

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পদক্ষেপগুলো দেশটির গণতন্ত্রের পর্যায়ক্রমিক প্রত্যাবর্তনকে ক্ষুন্ন করেছে এবং এক দশকের পুরানো বিদ্রোহের অবসান ঘটাতে ২০টিরও বেশি সশস্ত্র নৃগোষ্ঠীর মধ্যে এক নাজুক শান্তি প্রক্রিয়া সম্পর্কে অনিশ্চয়তার জন্ম দিয়েছে। দেশটিতে অস্থিতিশীলতার কারণে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সুরক্ষার ক্ষেত্রেও প্রভাব পড়তে পারে, কারণ মিয়ানমারে ওই অঞ্চলের বেশ কয়েকটি জঙ্গি গোষ্ঠীর ঘাঁটি রয়েছে।

কয়েকটি শহর থেকে রাস্তার বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেলেও বৃহস্পতিবার স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার নামে মিয়ানমারের জান্তা ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপ অবরুদ্ধ করেছে। নেতাকর্মীরা সামরিক অভ্যুত্থানের বিরোধিতা করতে এবং বিক্ষোভ সমাবেশ করার জন্য ফেসবুক ব্যবহার করে আসছে। সু চি’র বিরুদ্ধে অবৈধভাবে আমদানি করা ওয়াকি-টকিজ রাখার অভিযোগ আনা হয়েছিল, সামরিক আইনী ভিত্তি দিয়ে তাকে এক পনেরো দিন আটক রাখার অনুমতি দেয়া হয়েছে। দেশটিতে অভ্যুত্থানের পরপরই ভারত উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল এবং বলেছিল আইনের শাসন ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অবশ্যই বহাল রাখতে হবে। সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মিয়ানমার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ