মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চরম নির্যাতিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) চলমান মামলার বিচারিক কার্যক্রম এক বছরের জন্য পিছিয়ে দিতে আবেদন দাখিল করেছে মিয়ানমার। গত মাসে এই আপত্তি দাখিল করা হলেও সম্প্রতি সেই তথ্য সামনে এসেছে। সেনাবাহিনী কর্তৃক ক্ষমতা নেওয়ার এক সপ্তাহ আগে অর্থাৎ গত ২০ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে (আইসিজে) এই আপত্তি জানায় মিয়ানমার।
গত ২৮ জানুয়ারি আইসিজে প্রেসিডেন্ট আবদুলকায়ি আহমেদ ইউসুফ স্বাক্ষরিত এক নথিতে জানানো হয়েছে, মিয়ানমার তাদের আপত্তির কথা আদালতকে জানিয়েছে। তবে ঠিক কোন কোন বিষয়ে আপত্তি তোলা হয়েছে তা এখন পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত করতেই এই আপত্তি তুলেছে মিয়ানমার। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
আইসিজে আগামী ২০ মে পর্যন্ত তারিখ নির্ধারণ করেছেন, যার মধ্যে মিয়ানমারের তোলা আপত্তির বিষয়ে গাম্বিয়া লিখিতভাবে তাদের পর্যবেক্ষণ আদালতে জমা দেবে। তবে, আপত্তিতে মিয়ানমার কী জানিয়েছে, আইসিজে তা জনসম্মুখে প্রকাশ করেনি।
নিউইয়র্ক-ভিত্তিক গ্লোবাল জাস্টিস সেন্টার বলছে, গাম্বিয়ার করার মামলার বিষয়ে মিয়ানমার আপত্তি তোলায় রোহিঙ্গা গণহত্যার ঘটনায় ন্যায়বিচার পাওয়ার বিষয়টি আরও পিছিয়ে যেতে পারে।
তুরস্কের বার্তাসংস্থা আনাদোলু এক প্রতিবেদনে বলেছে, ‘গাম্বিয়ার করা মামলা নিয়ে মিয়ানমার আপত্তি তোলায় তা নিয়ে এখন আদালতে শুনানি হবে। ফলে মিয়ানমার গণহত্যা রীতি লঙ্ঘন করেছে কি না, তা নিয়ে আইসিজের চূড়ান্ত শুনানি আরও অন্তত এক বছর পিছিয়ে যাবে।’
২০১৯ সালের নভেম্বরে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসির) সহায়তায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলা দায়ের করে গাম্বিয়া। গাম্বিয়ার অভিযোগে বলা হয়, প্রায় সাড়ে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার ওপর নৃশংস সামরিক অভিযান চালিয়ে রোহিঙ্গা গ্রামগুলো পুড়িয়ে দিয়ে, হাজারো রোহিঙ্গাকে হত্যা, আহত ও নারীদের ধর্ষণ করেছে মিয়ানমার।
২০১৭ সালের আগস্টের পর থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বর্বরতার শিকার হয়ে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে সীমানা পেরিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এর আগে বিভিন্ন সময় নির্যাতনের শিকার আরও চার থেকে পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছিল।
অন্তারিও ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সির (ওআইডিএ) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে প্রায় ২৪ হাজার রোহিঙ্গাকে হত্যা করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।
গত বছরের ২৩ জানুয়ারি আইসিজে গাম্বিয়ার করা এই মামলায় গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছেন। রাখাইন রাজ্যের ছয় লাখ রোহিঙ্গা গণহত্যার মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছেন উল্লেখ করে মিয়ানমারকে গণহত্যা রোধ করতে, প্রমাণাদি ধ্বংস করা বন্ধ করতে এবং এ বিষয়ে চার মাসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। এরপর প্রতি ছয় মাস পর পর রিপোর্ট পেশ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মিয়ানমার এখন পর্যন্ত দুইটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। একটি গত মে’তে এবং অপরটি নভেম্বরে। আগামী মে’তে তাদের পরবর্তী রিপোর্ট জমা দেওয়া কথা রয়েছে। এর মধ্যেই তারা মামলার বিষয়ে আপত্তি জানাল। সূত্র : আল জাজিরা
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।