মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আবু ইউসুফ উমায়রা একজন ফিলিস্তিনি যুবক। সে প্রতিবন্ধি। ছোটোকাল থেকেই তার হাত পাগুলো বেড়ে উঠেনি। কিন্তু তার এই প্রতিবন্ধিত্ব তার পড়ালেখা, উচ্চাভিলাষ ও স্বপ্ন পূরণের পথে অন্তরায় হতে পারেনি। সে তার প্রতিবন্ধিত্ব নিয়ে জীবনযুদ্ধে টিকে আছে। অব্যাহত এগিয়ে চলছে স্বপ্ন পূরণের পথে।
তবে মজার বিষয় হলো, হাত পা বিহিন এই প্রতিবন্ধি যুবকটি মাত্র অল্পদিনের মধ্যেই মার্শাল আর্ট বিদ্যায় কমলা রঙের বেল্ট অজর্ন করেছে। মার্শাল আর্টে সে অসাধারণ দক্ষতা অর্জন করে ফেলেছে। শুধু তাই নয়, একবার সে তার উস্তাদের সাথে ট্রেনিংরতবস্থায় লাঠি খেলায় চমক দেখিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলো।
২৪ বছর বয়সী আবু ইউসুফ উমায়রা বর্তমান ফিলিস্তিনের ‘গাজা’ উপত্যকার ‘আল মাশতাল’ নামক একটি মার্শাল আর্টস ক্লাবে ট্রেনিংরত আছে। একবার কেউ তাকে প্রশ্ন করেছিলো- এই পঙ্গুবস্থায় কেন সে এতো কষ্ট করে এসব শিখছে? অথচ কষ্টসাধ্য এই কারাতে শিখা একজন সুস্থ মানুষের জন্য ও অনেক সময় কঠিন এমনকি অসম্ভব হয়ে পড়ে। কিন্ত সে কী করে এই অসম্ভবকে সম্ভব করলো?
উত্তরে সে বলেছিলো: আমি মার্শাল আর্টস জগতে প্রবেশ করেছি দুটি উদ্দেশ্য।
এক : আমি দেখি মানুষ সাধারণত কোনো বিষয়ে সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতার শিকার হলে বিষয়টিকে অসম্ভব মনে করে হাত গুটিয়ে নিরাশ হয়ে বসে পড়ে। কিন্তু আমি তাদের মতো নই। আমি প্রমাণ করে বিশ্বকে জানিয়ে দিতে চাই যে, প্রতিবন্ধিতা হলো মনের প্রতিবন্ধিতা, দেহের নয়। আর অসম্ভব বলতে কিছু নেই। পৃথীবিতে সবকিছুই সম্ভব। তবে সে জন্য প্রয়োজন দৃঢ় প্রত্যয়, পাহাড় সম হিম্মত, পিপিলিকার মতো নিরবচ্ছিন্ন শ্রম ও মেহনত।
দুই : আমি আত্মরক্ষার জন্য কারাতে শিখতে ক্লাবে ভর্তি হয়েছি এবং আমার স্বপ্ন, আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া, এবং তাতে সফলতা অর্জর করা।
আবু ইউসূফ দুর্দান্তভাবে লাঠি ঘুরানো এবং তা দিয়ে আঘাত করতে পারে। যা তার না থাকা অঙ্গের সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
এছাড়াও কীভাবে শক্তিশালী ঘুষি মারতে হয় তাও সে পারে। তার শরীর ও বাহু দিয়ে প্রতিপক্ষের আক্রমণগুলি ও অত্যন্ত দক্ষতার সাথে প্রতিহত করতে শিখেছে।
তার কোর্চার( প্রশিক্ষক) হাসান আল-রাহি বলেন, আমার শিক্ষার্থী বিশেষ ইচ্ছা ও হিম্মতের অধিকারী। ইউসুফের বিভিন্ন দক্ষতা দেখে আমি খুব অবাক হয়েছি। এছাড়াও যারা তার চেয়ে কম অক্ষম তাদের জন্য ও সে কাজ করতে পারে।
আবু ইউসূফ উমায়রা গাজার পশ্চিম তীরে একটি শরণার্থী শিবিরে বাস করে৷ এবং সে প্রতিদিন মোটরসাইকেল যোগে রাস্তায় চলাচল করে। গত বছর সে গাজার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শরিয়া ও আইন অনুষদ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছে। তথ্যসূত্র: আখবারুল খালিজ আরবি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।