Inqilab Logo

বুধবার, ০৫ জুন ২০২৪, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

গোদাগাড়ীতে ৬ জন নেতাকে বহিস্কার করে আওয়ামীলীগ সভাপতি নিজেই বহিস্কার!- সাংগঠনিক সম্পাদক এ. এম শাহীন

গোদাগাড়ী (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৯:১০ পিএম

রাজশাহীর গোদাগাড়ী পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন হবে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। নারকেল গাছ প্রতীকের বিজয়ের লক্ষ্যে পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের মহিশালবাড়ী গরুরহাটে একটি বিশাল নির্বাচনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বাদ মাগরিব প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা সাজুরুদ্দিন বিশ্বাস ওরফে সাজুরুদ্দিনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ বদিউজ্জামান, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ রবিউল আলম, সাংগঠনিক সাম্পাদক এএম শাহীন, প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম রফিক প্রমূখ।

সাংগঠনিক সম্পাদক এ. এম শাহীন বলেন, সভাপতি অয়জুদ্দিন বিশ্বাস কোন মিটিং, নোটিশ, রেজুলেশন ছাড়াই আমাদের ৬ জনকে বহিস্কার করেছেন, দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক আওয়ামীলীগ সভাপতি অয়জুদ্বদিন বিশ্বাস নিজেই বহিস্কার। চুরি, অনিয়ম আর কত করবেন? নৌকার প্রতীকের জন্য আমিও প্রার্থী ছিলাম। কিন্তু সভাপতি অয়জুদ্দিন বিশ্বাস আমাদের নাম কেটে দিয়ে তার নামে টিক দিয়ে কেন্দ্র পাঠান। সে যদি মেয়র হওযার পূর্বেই চুরি, ডাকাতি, অনিয়ম শুরু করেন। মেয়র হয়ে কি করবেন এখন আপনারাই জানেন। সে কেমন লোক আপনারা ভালই জানেন, তাকে ভোট দিয়ে সন্ত্রাসী, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি ছাড়া কিছুই হবে না।

গোদাগাড়ী পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রবিউল আলম বলেন, মেয়র বাবু অনেক উন্নয়ন করেছেন, কিভাবে উন্নয়ন করতে হয় সে জানে, তাই নারকেল গাছে ভোট দিয়ে তাকে আর একবার মেয়র হওয়ার সুযোগ করে দেন। অনেক হুমর্কী, হররানী করেছেন, মুন্ডুমালা পৌরসভায় শ শ লাঠি কেটে লাঠি খেলার কথা বলেছিলেন কিন্তু পারেন নি। গোদাগাড়ীতেও পারবেন না। সবাই একটি করে ডাব খেয়ে নারকেল গাছ প্রতীকে ভোট দিবেন পৌরসভার উন্নয়নে সাহায্য করবেন।

উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ বদিউজ্জামান বলেন, মেয়র মনিরুল ইসলাম বাবু শান্তির প্রতীক, আস্থার প্রতীক। যারা ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন, ভোট ডাকাতি করেছেন, ভোটাধিকার হরন করছেন তাদের আগামী ১৪ তারিখ নারকেল গাছ প্রতীককে ভোট দিয়ে এর দাঁতভাঙ্গা জবাব দিবেন। ইসাহাক সাহেব উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে এমপির সাথে হাত মিলাতে গিয়েছিলেন তাকে অপমান করেছেন। আমি ওই হাতে হাত মিলাতে পারি না। ওই হাতে পোড়া গন্ধ, রসের গন্ধ আছে। পরবর্তীতে ফুলের হাত হয়ে যায়। তার বাড়ীতে ভূজিবোজ করেছেন। ইসাহাক অষ্টম শ্রণী পাস ছিল, তাই তাকে জনসভায় অনেক অপমান করেছিলেন। কিন্তু আপনি যাকে মনোনায়ন সে কিসে পাস, তার কোন সনদপত্র আছে? তাকে কেন মনোনয়ন দিলেন। তিনি দলীয় মনোনয়ন পাবার ৫ দিন পূর্বে ৫ হাজার গাড়ী ভাড়া করেছিলেন, রাজশাহী এয়ারপোর্টে যখন দলীয় মনোনয়ন নিয়ে আসেন তখন পা থেকে মাথা পর্যন্ত ফুলের মালা দিয়ে ভরে দিয়েছিলেন, মনে হয়েছিল ডোনাল ট্যাম্প আসছেন। সে যদি মেয়র হয় লুটপাট ছাড়া কিছুই হবে না। তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে বলছেন, নারকেল গাছ, ধানের শীষ, জগ মার্কায় ভোট দিলেও অয়জুদ্দিন জয়লাভ করবে। ওই সব ভাওতাবাজি করছেন, কোন হুমর্কী দিবেন না। এটা কোন কাজ হবে না।

মেয়র মনিরুল ইসলাম বাবু বলেন, আমি পৌর সভার ব্যাপক উন্নয়ন করেছি যা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। কয় দিন আগে এই মহিশালবাড়ী গরুর হাটে এক সভায় বেইমান, মোনাফেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন পৌর সভার কোন উন্নয়ন করতে পারে নি বাবু মেয়র রাস্তা করেছেন খোয়া উঠে যাচ্ছে। তিনি ১শ গ্রাম পীচ রাস্তায় দিতে পারেন নি। ওই বেইমানের উদ্দেশ্যে জবাব দিতে চাই ওই রাস্তাগুলির ঠিকাদার জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যান নিজে হওয়ার আমার বদনাম করার জন্য সে কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। আপনারা দেখতে পাবেন ভোটের পরেই সে রাস্তায় পীচ ব্যবহার করবে। বিলের জন্য ঘুরঘুর করবে। ড্রেন, রাস্তা, কালভাট, পানি সরবরাহসহ বিভিন্ন প্রকল্পের কোটি কোটি টাকার কাজ হচ্ছে। আমি যদি মেয়র নির্বাচিত হবে পারি পদ্মা নদীর ধার দিয়ে থানা মোড় থেকে পৌরসভার শেষ পর্যন্ত পাইলিং করা রাস্তা করা হবে, বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাজশাহী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ