Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রোমাঞ্চকর ম্যাচ জিতে চারে চার শেখ জামালের

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৭:২৪ পিএম

ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) টানা চার ম্যাচ জিতে দূর্দান্ত গতিতে এগিয়ে চলেছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। আগের তিন ম্যাচের মতো মঙ্গলবারও তারা রোমাঞ্চকর জয় তুলে নিয়েছে। এদিন বিকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে দিনের একমাত্র ম্যাচে শেখ জামাল প্রথমে দু’গোলে পিছিয়ে থেকেও ৩-২ ব্যবধানে হারিয়েছে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবকে। বিজয়ী দলের হয়ে গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড ও অধিনায়ক সলোমন কিং কানফর্ম দু’টি এবং স্থানীয় ফরোয়ার্ড নুরুল আবসার একটি গোল করেন। সাইফের পক্ষে দু’গোল করেন যথাক্রমে স্থানীয় মিডফিল্ডার ফয়সাল আহমেদ ফাহিম ও নাইজেরিয়ান মিডফিল্ডার জন ওকোলি।

এর আগে লিগে টানা তিন ম্যাচ জিতে দারুণ ছন্দে থাকা শেখ জামাল চতুর্থ ম্যাচেও যেন সাইফকে হারাতে বদ্ধপরিকর ছিল। সর্বশেষ ম্যাচে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘকে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত করে প্রতিপক্ষদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছিল তারা। যার প্রমাণ হাতেনাতে পেল সাইফ স্পোর্টিং। মঙ্গলবারের ম্যাচে দুই গোলে এগিয়ে থেকে জামালকে প্রথম হারের স্বাদ দিতে ক্ষণ গুণছিলেন সাইফের বেলজিয়ান কোচ পল জোসেফ পুট। কিন্তু সবকিছু উলটপালট হয়ে গেল মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে। এই সময়ে পরপর তিন গোল করে জয় তুলে নিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেয় শেখ জামাল। স্থানীয় কোচ শফিকুল ইসলাম মানিকের শিষ্যরা যে কতটা ভয়ংকর তা টের পেলেন সাইফের ফুটবলাররা।

আরামবাগকে বড় ব্যবধানে হারানো জামালের বিপক্ষে ম্যাচের শুরু থেকেই সাবধানী ছিলেন সাইফ কোচ পল পুট। তাই তো তিনি শিষ্যদের আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলার দীক্ষা দিয়েই মাঠে নামিয়েছিলেন। বেলিজিয়ান কোচের নির্দেশনা মতো খেলে শুরুতেই সাফল্য পায় সাইফ। ম্যাচের ২২ মিনিটে প্রথম গোলের দেখা পায় তারা। এসময় নাইজেরিয়ান মিডফিল্ডার জন ওকোলির বাড়িয়ে দেয়া বল বক্সের ভেতরে থাকা আরেক মিডফিল্ডার ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের কাছে গেলে তিনি প্রচন্ড শটে গোল করে সাইফকে এগিয়ে নেন (১-০)। জামাল গোলরক্ষক জিয়াউর রহমান জিয়ার চেয়ে থাকা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না। তবে পিছিয়ে পড়ে গোল শোধে মরিয়া হয়ে খেলতে থাকেন জামালের গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড সলোমন কিং কানফর্ম। গোল করতে না পারায় অসহায় মনে হচ্ছিল আগের ম্যাচে হ্যাটট্রিকসহ চার গোল করা আরেক গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড ওমর জোবেকেও। ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড সুলায়মান সিলাও। বরং উল্টো ব্যবধান দ্বিগুন করে সাইফ স্পোর্টিং। প্রথমার্ধের যোগকরা সময়ে (৪৫+৩ মিনিট) ফাহিমের কাছ থেকে বল পেয়ে একাই বক্সের দিকে ছুটে গিয়ে জোড়ালো শটে গোল করে সাইফ শিবিরকে আনন্দে ভাসান জন ওকোলি (২-০)। এই ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে গেলেও দ্বিতীয়ার্ধের গল্পটা শেখ জামালেরই। এই অর্ধে তারা গোল শোধে মরিয়া হয়েই আক্রমণ চালায় প্রতিপক্ষের রক্ষণদূর্গে। তবে সফলতা আসে ম্যাচের ৭৫ মিনিটে। এ সময় হেডে গোল করে ব্যবধান কমান সলোমন কিং কানফর্ম (১-২)। দু’মিনিট পর বদলি ফরোয়ার্ড নুরুল আবসার গোল করে সমতা আনেন (২-২)। তবে ম্যাচের নাটকীয়তা বাকী ছিল। যার সমাপ্তি ঘটে ম্যাচের যোগকরা সময়ে (৯০+২ মিনিট)। এ সময় শেখ জামালের ওমর জোবের একটি শট বক্সে দাঁড়ানো সাইফ অধিনায়ক রাফির হাতে লাগলে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। স্পট কিক থেকে সলোমন কিং কানফর্ম গোল করলে রোমাঞ্চকর জয় পায় ধানমন্ডির দলটি (৩-২)। এই জয়ে চার ম্যাচের সবগুলো জিতে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় তৃতীয়স্থানে উঠে আসলো জামাল। আর পাঁচ ম্যাচে দু’টি করে জয় ও হার এবং এক ড্র’তে ৭ পয়েন্ট নিয়ে সাইফ থাকলো পঞ্চমস্থানেই।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফুটবল

২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ