মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রাশিয়া তার নতুন অ্যাটাক হেলিকপ্টার ‘এমআই-২৮এনএম’এ এয়ার-টু-এয়ার গাইডেড মিসাইলে সজ্জিত করছে। রাশিয়ার মিডিয়া অনুসারে, ‘নাইট হান্টার’ নামের এই হেলিকপ্টারটিতে আর-৭৪ তাপ-সন্ধানকারী ক্ষেপণাস্ত্র সজ্জিত করা হয়েছে যা উন্নত জেট ফাইটারের জন্য নকশা করা হয়েছিলো। তবে কিছু বিশেষজ্ঞ সতর্ক করেছেন যে, শীতল যুদ্ধের সময় মার্কিন হেলিকপ্টারগুলোতে যখন বিমানবিরোধী ক্ষেপণাস্ত্র সজ্জিত করো হয়েছিল, তখন দেখা গিয়েছিলো বিমান যুদ্ধের জন্য হেলিকপ্টার ব্যবহার করা ততটা সহজ নয়।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা শিল্প সূত্রের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংবাদপত্র ইজভেস্টিয়া জানিয়েছে, ‘সর্বশেষতম রাশিয়ান এমআই-২৮এনএম হেলিকপ্টার শত্রু বিমান, ড্রোন এবং ক্রুজ মিসাইল মোকাবেলায় সক্ষম যোদ্ধায় পরিণত হবে। শক্তিশালী আর-৭৪এম গোলাবারুদ বিমানের লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে রোটারক্রাফ্টে বসানো হবে। তারা পঞ্চম প্রজন্মের বিমানও নামিয়ে আনতে সক্ষম হবে।’
এমআই-২৮এনএম হ’ল এমআই-২৮ হ্যাভোকের উন্নত সংস্করন। এর আগের সংস্করন ছিল শীতল যুদ্ধের সময় ‘উড়ন্ত ট্যাঙ্ক’ নামে খ্যাতিপ্রাপ্ত শক্তিশালী এমআই-২৮ হিন্দ। এমআই-২৮এনএম-এ রাতে যুদ্ধ করার জন্য মাস্ট-মাউন্টেড ফায়ার কন্ট্রোল রাডার রয়েছে। এর আর-৭৪এম কামানটি আরভিভি-এমডি নামেও পরিচিত যা আর-৭৩ (ন্যাটো কোড: এএ-১১ আর্চার) এর উন্নত সংস্করন। এটি স্বল্প-দৈর্ঘ্যের ইনফ্রারেড-হোমিং এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল ছুঁড়তে সক্ষম। প্রায় চব্বিশ মাইল দৈর্ঘ্যের একটি পরিসীমা এবং একটি অফ-বোরসাইট ক্ষমতা সম্পন্ন এই মিসাইল বিমানের সামনের দিকে তাক না করে পাশের দিকে তাক করা হয়। ফলে এটি মুখোমুখি যুদ্ধের জন্য একটি বিপজ্জনক অস্ত্র হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপাচি হেলিকপ্টার যেকোনো আবহাওয়ায় হামলা চালাতে পারে। রাতে অভিযান চালানোর জন্য অত্যাধুনিক নাইট ভিশন সিস্টেম ব্যবহার করে হেলিকপ্টারটি। এটি ঘণ্টায় ৩০০ কিলোমিটার বেগে চলতে পারে। একজন পাইলট ও একজন গানারের পরিচালনায় হেলিকপ্টারটি ১৬ এজিএম-১১ এ ও হেলফায়ার-২ অ্যান্টি ট্যাংক গাইডেড মিসাইল ছাড়াও দুটো এআইএম-৯ সাইডউইন্ডার, চারটি এআইএম-৯২ স্টিংগার ক্ষেপণাস্ত্রও বহন করতে পারে। তবে এই হেলিকপ্টার মুখোমুখি যুদ্ধের জন্য সক্ষম নয়।
রাশিয়ার এমআই-২৮ এনএম/ আর-৭৪ কামান দিয়ে বিমান, ড্রোন ও ক্রুজ মিসাইল নামাতে সক্ষম। পাশপাশি, মুখোমুখি যুদ্ধেও মারাত্মক প্রমাণিত হয়েছে। ফলে, নিঃসন্দেহে এটি অ্যাপাচির জন্য দুঃসপ্নে পরিণত হতে পারে। সূত্র: ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।